কলকাতা: চাকরি চুরির তদন্ত কার্যত হার মানাচ্ছে ক্রিস্টোফার নোলানের থ্রিলারকেও। সাসপেন্সের পর সাসপেন্স। টুইস্টের পর টুইস্ট। পরতে পরতে রহস্য। দাবি পাল্টা দাবি, কমিশন প্রকাশিত অযোগ্য সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকাকে চ্যালেঞ্জ। ঘটনার ঘনঘটার মাঝেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে বৈঠকে কমিশন।
কদিন আগেই গোটা বাংলা দেখেছে ম্যাজিক ওএমআর। সাদা ওএমআরে চাকরি কি পিসি সরকারের ম্যাজিক নাকি? সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের কলমের খোঁচায় অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের খুঁজছে সিবিআই ও এসএসসি। ইতিমধ্যে দু’দফায় ২২৩ জন অযোগ্য সুপারিশপ্রাপ্তের নামও প্রকাশ করেছে এসএসসি। বেরিয়েছে সাদা ওএমআরও। কিন্তু তারপরে আবার নয়া টুইস্ট।
ঘটনাক্রম
প্রথম দফায় ১৮৩ জন অযোগ্য সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ SSC-র।পরে জানা যায়, এর মধ্যে ১০২ জন চাকরিতে যোগ দেননি। অথচ ৮১ জন বহাল তবিয়তে শিক্ষকতা করছেন। SSC-র তালিকাকে চ্যালেঞ্জ ‘অযোগ্য সুপারিশপ্রাপ্ত’ ১৮৩ জনের মধ্যে ৯ জনের।SSC-র তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান ওই ৯ জন। তাঁদের দাবি, নম্বরের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, কেন তালিকায় নাম?
ওই ৯ জনের সঙ্গেই সোমবার বৈঠকে বসবেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। শুনবেন তাদের কথা। র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাননি, দাবি ওই ৯ জনের। এদিকে এসএসসির দাবি, র্যাঙ্ক জাম্প করেই ওই চাকরি প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে। আসল ঘটনাটা তাহলে কী? এখনও অধরা উত্তর।