SSC Recruitment News: শূন্যপদ বাড়ানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত এসএসসি-র! আলোচনা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও
SSC Seats May Increased: সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শূন্যপদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে যেহেতু এতে সিলমোহর পড়েনি বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাই সর্বসমক্ষে আমি এই প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা করতে পারি না। পাশাপাশি, সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। এখনও নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ বাকি রয়েছে।

কলকাতা: শূন্যপদ বাড়ছে এসএসসি-র। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? পরীক্ষা মিটেছে অনেকদিন। ইন্টারভিউ তালিকাও প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তা হলে আবার নতুন করে শূন্যপদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের অর্থ কী? শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চাকরিহারাদের কথাই ভাবাচ্ছে শিক্ষা দফতরকে। তাঁদের বাড়তি অগ্রাধিকার দিতেই পদ বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কমিশন। তবে এই প্রসঙ্গ এখনও রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে, চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শূন্যপদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে যেহেতু এতে সিলমোহর পড়েনি বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাই সর্বসমক্ষে আমি এই প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা করতে পারি না। পাশাপাশি, সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। এখনও নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ বাকি রয়েছে। ফলাফল বেরলে দেখতে হবে কতজন যোগ্য চাকরিপ্রার্থী বাদ গেলেন, যদি কেউ বাদ যান, তাঁদের প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল।’
শনিবার প্রকাশিত হয়েছে এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ প্য়ানেলের ইন্টারভিউ তালিকা। তাতে জায়গা করে নিয়েছেন ২০ হাজারের অধিক চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু এই নতুন তালিকা ঘিরে অভিযোগ কম নয়। কেউ অভিযোগ তুলেছেন, দাগি প্রার্থীকে জায়গা করে দেওয়ার। কেউ আবার অভিযোগ তুলেছেন, ৬০-এ ৬০ পেয়েও নাম উঠল না ইন্টারভিউ তালিকায়। সুতরাং, এসএসসি ও বিতর্ক থেকেছে এক সরলরেখায়।
সোমবার বেলার দিকেই ‘কাট অফ’ নিয়ে অভিযোগ তুলে পথে নামেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে করুণাময়ী থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করলেন এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ প্যানেলে নতুন আবেদনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘কাট অফ’ ৭০ শতাংশের বেশি হওয়ায় ডাক পাননি তাঁরা। এমনকি, কেউ কেউ পূর্ণ নম্বর পেয়েও ডাক পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নবাগতরা। পাশাপাশি, শূন্যপদ বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। এবার সেই শূন্যপদ নিয়েই আলোচনা সারলেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। তবে সেটা নতুনদের জন্য নয়। যোগ্যদের বাড়তি অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য।
অবশ্য এসএসসি-র এই শূন্যপদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলেই দাগিয়েছেন সিপিএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন আইনজীবী বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে ওনারা যা যা করে চলেছেন, তার মধ্যে কোনটা আইনি? এই শূন্যপদ বাড়ানোর বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আরও একটা গন্ডগোলের চেষ্টা করছে এসএসসি। এটাও পুরো দুর্নীতি হবে।’
