কলকাতা: টেট দুর্নীতি তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির উপর কি চাপ ক্রমশ বাড়ছে? দু’দফায় রক্ষাকবচের আজ মেয়াদ শেষ। আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কি স্বস্তি মিলবে? না কি চাপ আরও বাড়বে? সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।
২ দিনের স্বস্তির আপাতত ইতি। আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের দায়ের করা মামলার শুনানি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের। গত মঙ্গলবার প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় মানিককে সিবিআই-এর কাছে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, দিল্লিতে বসে, কলকাতার হাজিরা এড়িয়ে যান বিধায়ক।
বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ টেটের ওএমআর সিট নষ্ট করা নিয়ে অ্যাড হক কমিটির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। যদি তিনি সহযোগিতা না করেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে সিবিআই ওই এজেন্সির ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে। কীভাবে এজেন্সিকে বাছাই তাও দেখতে হবে।
ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই-এর কাছে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, সেদিন হাজিরা দেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। অথচ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, তদন্তকারী সংস্থা চরম পদক্ষেপ করতে না পারলেও, মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই-এর সামনে হাজির হতেই হবে। আদালতের নির্দেশ না মেনে নিজের বিপদ কী নিজেই বাড়ালেন মানিক?
ওএমআর শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন,১ নভেম্বর তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।
প্রসঙ্গত, যে সময় ওএমআর সিট নষ্টের অভিযোগ উঠেছে, সেইসময় পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
ওএমআর মানে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে হয় এখানে একাধিক অপশনের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে ওএমআর ইনপুট ডিভাইস এই অপশন নিয়ে নির্ভুল উত্তর চিহ্নিত করে
ওএমআর শিটের মাধ্যমে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল সম্ভব বলে মনে করা হয়।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে আদালতের নির্দেশে অপসারিত হয়েছেন মানিক। ইডির চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যর নাম। চাকরি চুরির তদন্তে যে কোনও রকম আপোস নয়, সেকথা বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়ে, তাই সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছেন মানিক। সুপ্রিম রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ। এদিনের শুনানিতে কি পুজোর সময় ফের স্বস্তি মিলবে? নাকি চাপ বাড়বে তৃণমূল বিধায়কের? সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য।