কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটে। নবম-দশমের মামলায় এই ৯৫২ জনের ক্ষেত্রে নম্বর বদল করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য থেকে বেড়ে ৪২ বা ৪৩ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। সেই ওএমআর শিট প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয়েছে নানা ধরনের বিভ্রান্তি। একই নামের অনেকে থাকতে পারেন। তাই এবার প্রার্থীদের বাবার নাম ও স্কুলের নামও প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর মধ্যে সেই প্রার্থীদের বাবার নাম ও স্কুলের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে অনেক শিক্ষকই বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। সে কারণেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
নিয়োগ মামলার তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে ও অপরটি গাজিয়াবাদ থেকে। কেন্দ্রী. সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া ডিস্কে স্ক্যান করা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। তাতে আসল প্রাপ্ত নম্বরই দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ স্ক্যান করা পর্যন্ত কোনও সমস্যা ছিল না। সেখান থেকে এক্সেল শিক্ট যেত কমিশনে। এরপরেই নম্বর বদল করে দুর্নীতি হত বলে দাবি সিবিআই-এর। ৯৫২ প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই এখন চাকরি করেন বলেও আদালতে উল্লেখ করেছিল সিবিআই। এরপরই সেই উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে বেআইনিভাবে যাঁদের নাম সুপারিশ হয়েছে, এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল এসএসসি-র তরফে।