কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। কখনও গ্রুপ ডি, কখনও গ্রুপ সি, কখনও এসএলএসটি, একাধিক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ নিয়ে আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি। দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, দেখে মনে হচ্ছে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। কেন কমিশন নিজে এফআইআর করল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই ধরনের আরও একটি মামলা চলছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। দুটি মামলা একসঙ্গে শোনা হবে বলেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ছিল এসএলএসটি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মামলা। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, এখনও সময় হয়তো আছে। ব্যবস্থা নিন। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আৎ সেই নির্দেশেই দু’দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এসএলএসটি-তে নবম ও দশম শ্রেনির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নীচে দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চাকরি পেলেন শিক্ষকরা? তা নিয়েই মামলা হয়েছিল। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয় এসএসসি-র তরফে। তবে প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে কমিটি গঠন করে, রাজ্য যথেষ্ট তৎপরতার পরিচয় দিয়েছে বলেই মনে করছে আদালত। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে চলছে সেই শুনানি। মঙ্গলবার পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ।
চার মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল বানাতে হবে। যাঁরা যোগ্য তাঁদের কমিশন ডাকেনি বলেই অভিযোগ। গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি তথ্য জানার অধিকারে মামলাকারী স্কুলের কাছে জানতে চান ইনসান আলি নামে ওই শিক্ষক সম্পর্কে, যাঁর নিয়োগ নিয়েই অভিযোগ। সেখানে জানা যায় ইনসান ওবিসি প্রার্থী। নিয়োগের ছ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সে কথা কানে তোলেনি আদালত। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন : Bengal BJP: চার রাজ্যের জয়ই অক্সিজেন জোগাচ্ছে, আজ সাংগঠনিক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব