কলকাতা: চার রাজ্যে জয়ের পরই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক বিজেপির। নিজাম প্যালেসে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসছেন। থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয় হয়েছে বিজেপি। কিন্তু এই রাজ্যে কেন এই পরিস্থিতি? যেভাবে বিজেপি কর্মীরা পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন, সেই আঁচটাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাংলায় একুশের নির্বাচনের পর দলীয় কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা স্থিমিত হয়ে পড়ে। শাসকদলের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও কর্মসূচিই ছিল না বিরোধীদের। অন্য রাজ্যের জয়েক পর বাংলায় বিরোধী দল হিসাবে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে বিজেপি। অন্য রাজ্যের জয়ই অক্সিজেন জুগিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
বাংলায় পুরভোটেও বিশেষ ফল করতে পারেনি বিজেপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, বাংলায় প্রধান বিরোধী দল হিসাবে নিজেদের টিকিয়ে রাখাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে বিজেপির কাছে। শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক। তবে সেসময় দাঁড়িয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুরভোটের পর্ব মেটার পরই শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। এরই মধ্যে চার রাজ্যে জয় অক্সিজেন জুগিয়েছে মনে। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে, দলের পরবর্তী রণকৌশল নির্ধারণ করতে, আজ রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক।
চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল কেবল লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একটা সম্মানজনক জায়গায় রেখেছে। এই ফলাফল বিজেপিকে স্বস্তি দিচ্ছে। বঙ্গ বিজেপি বর্তমানে ভাঙন-জ্বালায় জর্জরিত। তার শেষতম সংযোজন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি আবার দল ছাড়ার পর জানিয়েছিলেন, বিজেপি অন্দরের সমস্যার কথা।সাংগঠনিক কাঠামোতেই গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও তাঁকে খুব একটা বিশেষ আমল দিতে নারাজ নেতৃত্ব। তবে বিজেপিতে দল ছাড়ার যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, সেটিকেও রুখতে চান নেতৃত্ব। এই প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
আরও পড়ুন: West Bengal Budget 2022: রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশ আজ, মহিলাদের জন্য নতুন কী ঘোষণা?