SSC: ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের থিয়োরি জানতে চাই’, আদালতে শান্তির সওয়াল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 22, 2022 | 9:47 PM

শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনকেই আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী।

SSC: বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের থিয়োরি জানতে চাই, আদালতে শান্তির সওয়াল
এসএসসি কাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার ফের জেল হেফাজত। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন SSC-র নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে মক্কেলের জামিনের আবেদন করে সিবিআইয়ের তরফে যে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’র কথা বলা হয়েছে, সেটা আদতে কী তাও জানতে চান তিনি। এপ্রসঙ্গে নাম না করে বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত এদিন ফের তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

এদিন সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে SSC নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলেন, “সিবিআইয়ের তরফে বারবার বৃহত্তর ষড়ন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। আমার জানতে ইচ্ছা করছে এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মানে কি? ষড়যন্ত্রের থিয়োরি বা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের থিয়োরি জানতে চাইছি।” এপ্রসঙ্গে বগটুই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা, নারদা, সারদা তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “ওঁনারা যখন তদন্ত করছে তখন বলা হচ্ছে সমাজের কথা, আবার ওনারা যখন অভিযুক্তের জায়গায় তখন কি সমাজ দেখছে না! কোনও বিচার তো এখন হচ্ছে না, তদন্ত চলছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলছে না। কখনও হবে না। সারদা এখনও চলছে। তদন্তই চলছে। নারদা ছ’বছর পরেও তদন্ত চলছে। সিবিআই যখন অরাজনৈতিক মামলার তদন্ত করে তখন কেস শেষ করে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়। কিন্তু এখানে হয় না। সমাজের জুজু দেখিয়ে জামিনের বিরোধিতা কেন?”

যদিও এস.পি সিনহার আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ওই প্রসঙ্গ এখানে কেন? কেন দোষারোপ করা হচ্ছে?” জবাবে এসপি সিনহার আইনজীবী বলেন, “দোষারোপ করছি না। উদাহরণ টানলাম।” এরপরই শান্তিপ্রসাদ সিনহার প্রভাবশালী তকমা খারিজ করে তাঁর আইনজীবী বলেন, “সিবিআই বলছে এসপি সিনহা জামিন পেলে তদন্ত ব্যহত হবে। কিন্তু ওঁনারা কোনও সময়সীমা রাখেননি। ওঁনারা বলতেই পারছেন না যে কিছু তথ্য সংগ্রহ হয়েছ বা হবে। স্পষ্ট কিছু বক্তব্য নেই।” তাঁর আরও প্রশ্ন, “হেফাজতে থাকাকালীন কোনওভাবে কী তদন্ত প্রভাবিত করেছি? কখনও ব্যাঘাত ঘটিয়েছি? ওঁনারা বলছেন পুলিশ হেফাজতে ছিলাম, তখন না কি কিছু বিষয় জেনে গিয়েছেন, জামিন পেলে তা নাকি বেরিয়ে যাবে, তাই জামিন দেওয়া যাবে না। এটা কোন ধরনের গ্রাউন্ড। তাহলে তো কোনওদিনই জামিন দেওয়া যাবে না…। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন সাতজন। কিন্তু এফআইআর ও চার্জশিটে নাম থাকা আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওঁনারা বাইরে আছেন, তাহলে কি তদন্ত তথ্য বেরিয়ে যাবে না?”

যদিও আইনজীবীর এই ধরনের যুক্তিতেও আখেরে কোনও কাজ হয়নি। এদিন সিবিআই ফের শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত ৭ জনের জামিনের বিরোধিতা করে। শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের আবেদনেই সিলমোহর দেয় আদালত। শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনকেই আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী।

Next Article