কলকাতা: আইসিসিইউ থেকে ফের কেবিনে স্থানান্তরিত হলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা তাঁকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। বাইরে পাহাড়ায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে কি এবার জোঁকা যাত্রা?
শুক্রবার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ‘কালীঘাটের কাকু’কে আদালতের নির্দেশ মেনে ইএসআই জোঁকা নিয়ে যেতে চেয়েছিল ইডি। তার আগেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাঁকে কার্ডিওলজির আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকেই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের প্রতিটি পদক্ষেপের উপরে কার্যত গোয়েন্দাগিরি চালিয়ে যাচ্ছিল ইডি।
একদিকে যেমন সুজয়কৃষ্ণর মেডিক্যাল রিপোর্টের খুঁটিনটি ব্যখ্যা তলবই হোক বা সুজয়ের ওয়ার্ডে আচমকাই ট্যাব হাতে ইডি কর্তার আগমন সবটাই নজরে রাখলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো ‘কাকুর’ উপরেও নজরদারির কাজে সিসি ক্যামেরা বসানোর আর্জি আদালতে জানানো যায় কি না তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এহেন চাপের মুখে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জন্য গঠিত হয় মেডিক্যাল বোর্ড। সেই বৈঠক থেকেই আইসিসিইউ থেকে ‘কাকুকে’ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এখন দেখার কবে আবার অভিযুক্তকে জোঁকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয় ইডি। উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণর নমুনা নিতে চায় ইডি। একটি অডিয়ো ক্লিপ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তার নিরিখেই কণ্ঠের নমুনা পরীক্ষা। কিন্তু ২ মাস বেশি সময় হতে চলল কাকুর গলা আর ইডি শুনতে পাচ্ছে না। কারণ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ভর্তি এসএসকেএম-এ। এবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। তবে কি কণ্ঠস্বর পরীক্ষা হবে এবার?