কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে এ বার উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে বসতে অসুবিধা রইল না চাকরিজীবী প্রার্থীদের। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কমর্রত শিক্ষকদেরও ইন্টারভিউ নিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। যেহেতু বুধবার ইন্টারভিউয়ের শেষ দিন, তাই আগামিকালই হাজারের বেশি চাকরিজীবী শিক্ষকদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য ২০১৬ সালে আবেদন করা হয়। যার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। তারপর থেকে আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে কোনও মেধাতালিকা বের হয়নি, ইন্টারভিউও হয়নি। অগত্যা আশাহত হয়ে আবেদনকারীদের প্রায় মধ্যে প্রায় হাজার জন এসএসসি-র অন্যান্য ক্ষেত্রে আবেদন করে চাকরি পেয়েছেন, এবং সেখানেই চাকরি করছে। যেহেতু সেই হাজার জন ইতিমধ্যেই একটি সরকারি চাকরি করছেন, তাই তাঁরা অন্য চাকরির পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ পাবেন না। এমন যুক্তি খাড়া করা হয়েছিল সংসদের পক্ষ থেকে। ফলে গোটা প্রক্রিয়া থেকেই কার্যত বঞ্চিত থাকতে হচ্ছিল তাঁদের।
২০১৬ সালে যখন নিয়োগের আবেদন জমা হয়, সেই সময়ে আবেদনকারীরা বেকার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা এসএসসির অন্য চাকরি পান। তাই তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, সরকারি চাকরি করলেও তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চ প্রাথমিকের লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন। তারপরও কেন ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হবে না? মামলাকারীদের আবেদন যুক্তিগ্রাহ্য মনে হওয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দেন, কর্মরত শিক্ষকদেরও আগামিকালই ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করতে হবে। আরও পড়ুন: জামিনের পর মুহূর্তেই ফের গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ট রাখাল বেরা, রাজ্যকে তুলোধোনা হাইকোর্টের