AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC: ঠিক কোথায় কোথায় সুপ্রিম নির্দেশ মানা হয়নি SSC-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে? মামলার পর পয়েন্ট ধরে ধরে বোঝালেন আইনজীবী

SSC: আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের মতে, সুপ্রিম কোর্ট কখনই বলেনি, নতুন করে রুল তৈরি করে, শেষে ১০ নম্বর টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের নম্বর দিতে। অর্থাৎ এতে বঞ্চিত চাকরিহারাদের জন্য ৯০ নম্বরের সিলেকশন আর বাকিদের জন্য ১০০ নম্বরের সিলেকশন করা হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্ট বলেনি।

SSC: ঠিক কোথায় কোথায় সুপ্রিম নির্দেশ মানা হয়নি SSC-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে? মামলার পর পয়েন্ট ধরে ধরে বোঝালেন আইনজীবী
কোথায় কোথায় মানা হয়নি নির্দেশ? Image Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Jun 03, 2025 | 2:08 PM
Share

কলকাতা: ফের জটে এসএসসি? নতুন বিজ্ঞপ্তি ও রুল ঘিরে আবারও আইনি জটিলতা। মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন লুবানা পারভিন নামে এক মামলাকারী। বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বেঞ্চে মামলার শুনানি। মামলাকারীর বক্তব্য, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে সঠিকভাবে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মানা হয়নি।

 নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ঠিক কোথায় কোথায় সুপ্রিম আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি?

প্রথমত: আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের মতে, সুপ্রিম কোর্ট কখনই বলেনি, নতুন করে রুল তৈরি করে, শেষে ১০ নম্বর টিচিং এক্সপেরিয়েন্সের নম্বর দিতে। অর্থাৎ এতে বঞ্চিত চাকরিহারাদের জন্য ৯০ নম্বরের সিলেকশন আর বাকিদের জন্য ১০০ নম্বরের সিলেকশন করা হয়েছে। যা সুপ্রিম কোর্ট বলেনি।

দ্বিতীয়ত: আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী,  এসএসটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, ২০১৬ সালের সিলেকশন ২০২৫ সালের রুল অনুযায়ী হবে। কিন্তু ২০১৬ সালে এসএসসি-র নির্দিষ্ট রুল ছিল। সেখানে অ্যাকাডেমিক মার্কস ছিল ৩৫। এবার সেটাকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০।  লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫, সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। ইন্টারভিউ ছিল ১০, এবারের রুলে ইন্টারভিউ ১০ ও লেকচার ডেমোস্ট্রেশনের জন্য ১০ বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৬সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া ওই সালেরই রুল অনুযায়ী করতে হবে। সেটিও নিয়ম ভঙ্গ করছে বটে!

তৃতীয়ত: নতুন রুল অনুযায়ী ‘টিচিং এক্সপেরিয়েন্স’ অর্থাৎ অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য,  যাঁদের অভিজ্ঞতা নেই, তাঁরা কোনওদিনই শিক্ষক হতে পারবেন না।

চতুর্থত: আগে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হত ৯০ নম্বরের ভিত্তিতে, বর্তমানে ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি হবে ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে। আইনজীবী জানাচ্ছেন, আগে ১:১.৪ অনুপাতে ইন্টারভিউতে ডাকা হত, অর্থাৎ ১০০টি পদে ১৪০ জনকে ডাকা হত। এখন ১:১.৬ অনুপাতে ডাকা হবে। অর্থাৎ ১০০টি পদের জন্য ১৬০ জনকে। এটিও নিয়ম ভঙ্গ করেছে।

আগামী ৫ জুন বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বেঞ্চে মামলার শুনানি।