কলকাতা: এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ। অভিযুক্ত রোগীর পরিজনরা। চিকিত্সার গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে চড়াও হন পরিজনরা। আক্রান্ত চিকিত্সক প্রীতম অভিযোগ, তাঁকে ও আরও এক চিকিত্সককে মারধর করা হয়। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ারের চিকিৎসার সরঞ্জামও ভাঙচুর হয়। হাসপাতালে ঝামেলা, ভাঙচুর, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় মহম্মদ ইরফান নামে এক যুবককে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবক হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যরা এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট লেখা নিয়েই তৈরি হয় ধন্দ।
ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু হয় ঝামেলা। কর্তব্যরত ৪ চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই শেষ নয়, ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় এক্সরে মেশিনও।
এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে ভবানীপুর থানায় ফোন করা হয়। রাতেই হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাঁরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।