কলকাতা : অকারণে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। সেই ইস্যুতে একাধিক মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশ মতো সোমবার সেই দিনের ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। এ দিন রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির নেতা-কর্মীদের কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
এ দিন আদালতে রিপোর্ট-সহ ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজ জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। কতজন গ্রেফতার তালিকা চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, কাউকেই অকারণে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘যারা সম্পত্তি নষ্ট করবে,পুলিশ কে মারবে, তাদের গ্রেফতার করা হবে না? পুলিশের গাড়ি জ্বালানো হয়েছে।’ অনেক পুলিশ আক্রান্ত বলেও উল্লেখ করেছেন এজি।
এ দিন আদালতে বিজেপির তরফে আইনজীবী স্মরজিত রায় চৌধুরী দাবি করেন, মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ৭৯ জন। এখনও ধরপাকড় চলছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, রাজ্যের পাল্টা দাবি, মাত্র ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে অন্যদিকে, যাঁরা অভিযুক্ত তাঁরাই বাঁচতে কী ভাবে জনস্বার্থ মামলা করছে সেই প্রশ্ন তোলে বিজেপি।
ঘটনার দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অনৈতিকভাবে বিজেপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সরব হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।