AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Smart Meter: স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, নোটিস জারি করল বিদ্যুৎ দফতর

Smart Meter: স্মার্ট মিটার লাগানোর পর আগের তুলনায় অনেক বেশি অঙ্কের বিল আসছে বলে অভিযোগ ওঠে। এত বিল কীভাবে মেটাবেন, ভেবেই পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

Smart Meter: স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, নোটিস জারি করল বিদ্যুৎ দফতর
স্মার্ট মিটার
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2025 | 11:28 AM
Share

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই স্মার্ট মিটার নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য। জোর করে বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন মিটারে লাগামছাড়া বিল আসছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এবার সেই স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে আপাতত কোনও বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো হবে না।

সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের দেওয়া নোটিসে জানানো হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে একাধিক বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছিল, তবে বেশ কিছু অভিযোগ আসায় আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

স্মার্ট মিটার নিয়ে একাধিক অভিযোগ পৌঁছয় বিদ্যুৎ দফতরে। স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে সোমবারই বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখান হুগলির রবীন্দ্রনগর কালীতলার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জোর করে ওই মিটার বসিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়েছে, আর তারপরই লাফিয়ে বেড়েছে বিল।

হুগলির ব্যান্ডেলের এক পরিবারও কিছুদিন আগেই একই অভিযোগ তুলেছিল। একমাসে ১২ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসায় অভিযোগ তুলেছিল তারাও।

পরপর এমন অভিযোগ উঠতে থাকায় গৃহস্থের বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করে দিল বিদ্যুৎ দফতর।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্মার্ট মিটার গোটা বাংলা জুড়ে লাগানো হয়েছিল। যার মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশই লাগানো হয় গৃহস্থ বাড়িতে। বাকি ৩৫ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বসানো হয়েছিল।

সূত্রের খবর, বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে এই স্মার্ট মিটার নিয়ে ওঠা অভিযোগ চলে যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ দফতরকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেন বলে জানা যাচ্ছে।

প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সবকটি রাজ্যকে স্বল্প সময় বেঁধে দিয়েছেন স্মার্ট মিটার নিয়ে বসানোর জন্য। এখন রাজ্যে এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করবে, সেটাই দেখার।