Election Commission: কাউকে সাসপেন্ড নয়! অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিল না রাজ্য, ডেডলাইন পেরনোর পর গেল চিঠি
Election Commission: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন, কোনও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দেবেন না তিনি। তালিকায় ছিল মোট ৫ জনের নাম। সুপারিশ ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে।

কলকাতা: সোমবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত ছিল ডেডলাইন। রাজ্য সরকারের চার অফিসার সহ মোট পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের সাসপেন্ড করার সুপারিশও করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব কমিশনকে যে চিঠি দিলেন, তা থেকে স্পষ্ট, কোনও কর্মীর বিরুদ্ধেই কোনও কড়া পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার।
কাউকে সাসপেন্ড করা হল না, কারও বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হল না। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জনকে নির্বাচন কমিশনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই, এমন অফিসারের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে ভোটার লিস্টে! আর এই ভয়ঙ্কর অভিযোগের পিছনে কাদের হাত, খুঁজতে গিয়ে কমিশনের হাতে এসেছিল পাঁচজনের নাম। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের AERO তথাগত মণ্ডল, আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং ওই কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। এছাড়া, সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরপর তিনবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুর ৩ টে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। ৩ টের পর অবশেষে রাজ্য চিঠি দিল কমিশনকে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, AERO সুদীপ্ত দাস ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে কমিশনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়নি, কাউকে সাসপেন্ডও করা হয়নি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তার পাশাপাশি থাকে ইলেকটোরাল রোল সংক্রান্ত কাজ। তবে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপকে প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে। রাজ্যের ব্যাখ্যা হল, এত কাজ করার পরও কোনও তদন্ত ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যান্যদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত সপ্তাহে এক সভায় গিয়ে এই ইস্যুতেই কমিশনের বিরুদ্ধে কার্যত গলা চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমি প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব।”
