কলকাতা: পুজোর আগে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্যের সাত জেলাকে ইতিমধ্যেই হটস্পট ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ দুই ২৪পরগনা, হাওড়া, হুগলির জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে নবান্নে ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রোজ বাড়ছে। জেলা দিয়ে শহর ঘেরার কাজ অব্যাহত রেখেছে এডিস ইজিপ্টাই। আর তারই জেরে পুজোর আগে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি। রাজ্যের সাত জেলা এখন ডেঙ্গি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, মালদহ।
গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ছ হাজার। কোভিড পরবর্তী সময়ে এ বছরই ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে হাসপাতালগুলিতে বর্তমানে বেডের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। তবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি পরিস্থিতির উন্নতির জন্য বারবার মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও থাকছে বিস্তর প্রশ্ন। যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে, তাতে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক জায়গাতেই জল জমে থাকছে দীর্ঘদিন। যেমন বলা যেতে পারে কলকাতার পূর্বালোক, সেখানে এখনও শনিবারের বৃষ্টির জল নেমে রয়েছে। পাম্প লাগিয়ে অনেক জায়গারই জল নামানো হচ্ছে। কিন্তু গাছের গোড়ায় জল জমে থাকছে, মশার লার্ভার বিস্তার ঘটছে। সমস্যা সেখানেই।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হঠাৎ করেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। এটাই চিন্তার বিষয়। ডেঙ্গি ছিল, একশো বছর বাদেও থাকবে, যদি না মানুষ সচেতন হয়।” ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রতিষেধক নিয়ে একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে যৌথ গবেষণা শুরু করতে চলেছে আইসিএমআর ও নাইসেড।