Chit Fund Scam: চিটফান্ড মামলায় হাজিরা এড়ালেন বীজপুরের বিধায়ক, সময় চাইলেন ১৫ দিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 06, 2022 | 1:55 PM

Subodh Adhikary: চিটফান্ড-কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে হালিশহর পুরসভার পুর প্রধান রাজু সাহানিকে। সেই একই মামলায় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন সুবোধ অধিকারী।

Chit Fund Scam: চিটফান্ড মামলায় হাজিরা এড়ালেন বীজপুরের বিধায়ক, সময় চাইলেন ১৫ দিন
সুবোধ অধিকারী (ছবি- ফেসবুক)

Follow Us

কলকাতা : চিটফান্ড-কাণ্ডে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। গত রবিবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয় বীজপুরের বিধায়ককে। তবে এ দিন সিবিআই দফতরে হাজির হন তাঁর আইনজীবী। সূত্রের খবর, দিন ১৫ সময় চেয়েছেন সুবোধ। চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথি তলব করা হয়েছিল। সেই কারণেই তিনি সময় চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

গত রবিবার সুবোধ অধিকারীর একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। কী ভাবে তাঁর এত সম্পত্তি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুবোধের স্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী। ব্যবসার টাকাতেই তাঁদের এত সম্পত্তি। সেই সম্পত্তির হিসেবও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিবিআই। তাই তাঁর আয়কর সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, রাজু সাহানি গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে যে সব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেখান থেকেই সুবোধের নাম সামনে আসে। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার সময় সুবোধ যে হিসেব দিয়েছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বছরে তাঁর গড় আয় ৫-৬ লক্ষ টাকা। ক্রমশ কমেছে সেই আয়। সেই টাকায় এত সম্পত্তি হয়েছে, এতে সামঞ্জস্য নেই বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই আয়কর দফতরের কাছেও সুবোধের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে নেমে রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করার পর থেকেই নতুন করে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রবিবারই বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৬ জায়গায় অভিযান চালানো হয়। শুধু সুবোধ নন, রাজু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী, কাঁচরাপাড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুম্পা সিং-এর বাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

সুবোধ অধিকারীর দক্ষিণদাঁড়ি ও পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। পরে সুবোধ অধিকারীর আপ্ত-সহায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাঁদের।

Next Article