কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ফের সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি মণীশ কোঠারি। মণীশ কোঠারি অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক ছিলেন। সূত্রের খবর, মণীশকে সোমবার বেশ কিছু নথি-সহ হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মণীশের কাছ থেকে কিছু নথি বাজেয়াপ্তও করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
আদিবাসীদের জমি বেআইনি ভাবে দখলের অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত, তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। কী করে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জমি জবরদখল, তা ছানবিন করতে গিয়েই দেখা যায়, প্রভাবশালী যোগে দেদার দখলদারি। তাও আবার সেই প্রভাবশালী যদি হন স্বয়ং কেষ্ট মণ্ডল, তাহলে তো দখলদারির দৌড় দেখেই ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। হয়েওছে তাইই। অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার টাকা-পয়সার সব হিসেব-নিকেশের চাবি এই মণীশ কোঠারির কাছেই। তবে শুধু কেষ্টর সম্পত্তি কেন, মণীশের নিজের সম্পত্তির খতিয়ানই বা কম কী!
বোলপুরের রূপপুরে সরকারি খাস জমি, পাট্টা জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বন্ধু সুমন্ত আগারওয়ালের নামও এক্ষেত্রে উঠে আসে।
জমির সেই নথি শুধুমাত্র TV9 বাংলার হাতে আসে। আর সেই দখলের ধানজমিতে তৈরি হয়েছে বিশাল বাগানবাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভবিষ্যতে বিলাসবহুল বাংলো তৈরির ভাবনাও ছিল দুই বন্ধু মণীশ ও সুমন্তর।
কিন্তু সরকারি খাসজমি, বর্গা ও আদিবাসী জমি বেহাত হওয়া কি এতই সোজা? নাকি প্রভাবশালী যোগেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রাসাদ গড়ছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ও তাঁর বিশ্বস্ত মণীশ কোঠারি?
বোলপুরের রূপপুর মৌজায় আদিবাসীদের জমি জোর করে কিনে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় কেষ্টর সিএ মণীশ কোঠারি। এই জমিগুলো আদিবাসীদের পাট্টা হিসেবে দিয়েছিল সরকার। যা আইনত কেনা-বেচা করা যায় না। সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই স্রেফ অনুব্রত-প্রভাবকে হাতিয়ার করে যথেচ্ছ জমি কেনার অভিযোগ ওঠে মণীশের বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই অনুব্রতর পরামর্শদাতা মণীশ কোঠারির বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। আবারও আয় বহির্ভূত সম্পত্তির হিসাব পেতে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।