নয়া দিল্লি: প্রায় গত একমাস ধরে অসুস্থ চলছেন সাধন পাণ্ডে। শুক্রবার সকালেই আবার অকালে চলে গিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সচিব অর্ণব রায়। ফলে দফতর কে চালাবেন, এই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। জরুরি পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে অতিরিক্ত দায়িত্ব সঁপলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে কোনও দফতর-বিহীন অবস্থা রয়েছেন সাধনবাবু। অন্যদিকে, বর্ষীয়ান সুব্রতবাবুকে একসঙ্গে সামলাতে হবে পঞ্চায়েত এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
গত মাসে ২১ জুলাইয়ের একদিন আগেই রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সাধন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে ছোটা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর থেকে টানা ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। রীতিমতো যমে-মানুষে টানাটানি চলে। তবে শেষ পর্যন্ত দিনকয়েক আগেই ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে বের করে আনা হয়। আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন মানিকতলার বিধায়ক। আর ভেন্টিলেশন লাগছে না তাঁর। কিন্তু এখনও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। এই অবস্থায় যাতে দফতরের কাজ না আটকে যায় তা নিশ্চিত করতে নতুন দায়িত্ব কাউকে দিতেই হত। সেই দায়িত্বই পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রাথমিকভাবে যদিও জানা গিয়েছিল, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সুব্রতকে দেওয়া হতে পারে। এখনই দফতর থেকে সরবেন না সাধন। সোমবার থেকেই সুব্রত ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে গিয়ে কাজও শুরু করবেন বলে জানা যায়। কিন্তু রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে সাধন যে দফতর-হারা হয়ে যাবেন, তা ঘুণাক্ষরের টের পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সিলমোহর-সহ নবান্নর স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, এ বার থেকে পঞ্চায়েত দফতরের পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরও সামলাবেন সুব্রত। অন্যদিকে সাধন আপাতত দফতর-বিহীন মন্ত্রী হয়েই থাকবেন। আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্য যেন ‘সোনার পাথরবাটি’, কংগ্রেস নামক ‘বোঝা’ বইতে নারাজ সপা-বসপা