কলকাতা: শীতকালীন অধিবেশনে আর যোগ দেওয়া হল না পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়েই আজ শুরু হবে বিধানসভার অধিবেশন। প্রয়াত মন্ত্রীর প্রতি শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভবনটা ছিল তাঁর কাছে মন্দিরের মতো। প্রথম পা রেখেছিলেন ১৯৭১ সালে। তারপর প্রায় পাঁচ দশক পরিষদীয় রাজনীতিতে কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বিধানসভায় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা হবে। প্রথমে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করবেন, তারপর হবে স্মৃতিচারণা।
সোমবার বিধানসভায় প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় উপস্থিত থাকবেন সব দলের বিধায়করা। এমনকী বিজেপি বিধায়কদেরও অনেকে উপস্থিত থাকবেন বিধানসভায়। এর আগে বঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, ১৩ নভেম্বরের আগে বিধানসভার অধিবেশনে দলের কোনও বিধায়ক যোগ দেবেন না। কিন্তু এখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হঠাৎ প্রয়াণে সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা বদল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুব্রত বাবুর স্মরণ সভায় বিধানসভায় আসবেন বিজেপি বিধায়কদের অনেকেই। বঙ্গ বিজেপির তরফে তেমনটাই স্থির করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে প্রয়াত মন্ত্রীর স্মৃতিচারণায় এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টার আলোচনা হবে বিধানসভা ভবনে। সোমবার বিধানসভায় থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পরিষদীয় রাজনীতিতে পঞ্চাশ বছর পূরণের পর টিভি নাইন বাংলায় কথাবার্তা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারে সুব্রতবাবু জানিয়েছিলেন একুশের ভোটের পর প্রথম বিধানসভায় যাওয়ার অনুভূতির কথা। তাঁর কথায়, “বিধানসভার অধ্যক্ষ মনে করিয়ে দিয়েছিলেন আমার এই পঞ্চাশ বছরের কথা। তখন ভেবেছিলাম, একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তার পর নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে পড়ি।”
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রায় দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুব্রতদাকে এই অবস্থায় তিনি দেখতে পারবেন না। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রার দিনেও সারাদিন অন্তরালে থেকে গোটা প্রক্রিয়ার দেখাশোনা করেন তিনি। তবে শোনা যাচ্ছে, এদিনের স্মৃতিচারণায় থাকতে পারেন তিনি।