Sujan attacks Kunal : ‘২০১১ সালের পরে চাকরি মানেই লুঠ’, পরিবারের সদস্যদের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কুণালকে তোপ সুজনের

Sujan attacks Kunal : “২০১১ সালের আগে ছিল চাকরিতে স্বচ্ছতা। আর ২০১১ সালের পরে চাকরি মানেই লুঠ।” তোপ সুজনের।

Sujan attacks Kunal : ‘২০১১ সালের পরে চাকরি মানেই লুঠ’, পরিবারের সদস্যদের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই কুণালকে তোপ সুজনের
কুণালকে তোপ সুজনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2023 | 12:01 AM

কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সামনে আসবে সিপিএমের দুর্নীতির (CPIM Corruption) খতিয়ান। বুধবার বনগাঁর এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) গলাতেও। তিনি বলেন, “শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন সুজনবাবু। সুজনবাবু সহ সিপিএম (CPIM) নেতাদের পরিবারের কত লোক সরকারি চাকরি করে। সুজনবাবু তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাক।” পাল্টা তোপ দেগেছেন সুজন চক্রবর্তীও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষ বলেছেন আমার পার্টি, আমার পরিবার কারা কী চাকরি করে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। আমি কী বলব কুণাল ঘোষ ১০ -১১ বছর আগে যখন গ্রেফতার হয়েছিল তখন কী কী বলেছিল, আমি কী তালিকা করে প্রকাশ করতে বলব ওকে! কেন বলতে যাব এসব! কুণাল ঘোষ একজন ব্যক্তি। তার তো নিজের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার কথা নয়, কথা তো সরকারের।”

এরপরই সরাসরি কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে সুজনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন ১৯৯০ থেকে যাঁরা যাঁরা স্কুলে চাকরি পেয়ছেন তাঁদের সবার নামের তালিকা উনি প্রকাশ করবেন। আমরা বলেছি হ্যাঁ হিম্মত থাকলে প্রকাশ করুন। কারণ আমি বলছি এটা প্রকাশ করার হিম্মত ওদের নেই। কারণ ২০১১ সালের আগে ছিল চাকরিতে স্বচ্ছতা। আর ২০১১ সালের পরে চাকরি মানেই লুঠ।” 

একদিকে যখন নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মুখ পুড়ছে শাসক তৃণমূলের সেখানে এবার তাঁদের নজর বাম আমলে। কয়েকদিন আগেই মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাম আমলের নিয়োগের ময়নাতদন্ত হবে। দুর্নীতির শ্বেতপত্র শীঘ্রই প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু, কবে সামনে আসবে সেই তালিকা তা নিয়ে চাপানউতর চলছিলই। এরইমধ্যে বনগাঁর এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “সিপিএমের আমলে যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা কেউ রবীন্দ্রনাথ বা বিদ্যাসাগর নয়, চিরকুটের তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামীতে সামনে আসবে।”