কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এসএসকেএম-কে চিঠি দিল ইডি। তাতে হাসপাতালের এমএসভিপি পীযূষ রায় বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে যে ইডি নিয়ে যেতে চাইছে, তা তাঁর কাস্টডিয়ান প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএসকেএম-এর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্থানান্তরের কাগজে প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ। ফলে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। সেক্ষেত্রে পথ মসৃণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তারপরই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তারপর থেকে দীর্ঘদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এই মামলায় এখম ‘কাকু’র কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে চায় ইডি। কারণ তদন্তে ইডি-র হাতে তথ্য এসেছে, রাহুল বেরা নামে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সিভিক ভলান্টিয়রকে মোবাইল থেকে তথ্য ডিলেটের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মোবাইলে পাওয়া সেই কন্ঠস্বরের সঙ্গে ‘কাকু’র কন্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি।
ইডি চায় রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালেই কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করাতে। এর আগে একাধিকবার সুজয় ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েও এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ইডির তদন্তকারী অফিসারদের। এমন অবস্থায় তাই ইডির তরফে আবেদন জানানো হয় আদালতে। কিন্তু আদালতের হস্তক্ষেপে একটি নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড। কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, ইএনটি’র চিকিৎসককে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে কাগজপত্র সম্পূর্ণ হতেই এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পূর্ণ হবে বলে সূত্রের খবর।