কলকাতা: কঙ্কালকাণ্ড মামলায় ডিসচার্জ পিটিশনের শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সল্টলেকের ময়ূখ ভবনে এমপি এমএলএ স্পেশাল কোর্টে (সাংসদ বিধায়কদের বিশেষ আদালত) হাজিরা দিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। জানালেন, আগামী ডিসেম্বরে ফের শুনানি রয়েছে।
আদালত থেকে বেরিয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এই মামলায় যে অভিযুক্ত একবার সেই অভিযুক্ত একই মামলায় বেকসুর খালাস করা হয়েছিল। আবারও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। সেই জন্য একটা ডিসচার্জ পিটিশন ছিল। এদিন শুনানি ছিল। ২০১১ সালের কঙ্কালকাণ্ড। আমাকে তো এই মামলায় যুক্ত করাই হয়েছে। সরকারি পক্ষের আইনজীবী সময় চাইলেন কোর্টের কাছে। কারণ তিনি প্রস্তুত নন। তাঁকে সময় চাইতে হল। বিচারক সময় মঞ্জুরও করলেন। আবার পরে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুনানি হবে।”
সুশান্ত ঘোষের আইনজীবী রানা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “২০০১ সালে অজয় আচার্য এবং ছ’ জন মানুষ খুন হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অজয় আচার্যের মেয়ে চন্দনা আচার্য একটি মামলা করেন। সেই মামলা মেদিনীপুরের ৬ নম্বর এডিজি আদালতে খালাস হয়। এদিকে কঙ্কালকাণ্ডের দু’ তিনজনকে আবার যুক্ত করে মামলায়। তাঁরা বলছেন, বিচার হয়ে গিয়েছে, খালাস পেয়ে যাওয়ার পরও কেন আবার বিচার হবে? এই প্রশ্নে এদিন শুনানি হল। সুশান্তবাবু হাজির ছিলেন, অন্যরা হাজির ছিলেন না। সরকার পক্ষ সময় চেয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এর পূর্ণ শুনানি হবে।”
সুশান্ত ঘোষের নামে এক সময় নাকি বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। যদিও এ কথাকে সমর্থন করেন না সুশান্ত। বরং তাঁর কাছে এটা ‘মিথ’। বাস্তবে তিনি মোটেই তেমন নন। ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। সেই মামলায় দীর্ঘদিন হাজতবাসও করেছেন গড়বেতা বিধানসভার ছ’বারের এই বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের আগে ওই মামলা থেকে জামিন পেয়ে নিজের জেলায় ফেরার অনুমতি পান সুশান্ত। ভোটে লড়ার টিকিটও পেয়েছিলেন। যদিও রাজ্যজুড়ে বামেদের ভরাডুবির মধ্যে তিনিও হালে পানি পাননি।
সুশান্ত ঘোষ মানেই কেশপুর কাণ্ড, ছোট আঙারিয়া বা তপন-সুকুরের মতো নেতা। টিভি নাইন বাংলার এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুশান্ত ঘোষ বলেছিলেন, ‘এঁদের একজন স্কুলের বিজ্ঞানের মাস্টারমশাই। অন্যজন সাধারণ পরিবারের ছেলে। কিন্তু মিডিয়া এমন ভাবে প্রচার করে এঁরা বোধহয় সাংঘাতিক কিছু।’ যা আদৌ সত্যি নয় বলেই দাবি করেছিলেন সুশান্ত।
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: বিধাননগর বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের