কলকাতা: রাজভবনের সবুজ সঙ্কেত পেতে স্বল্প বিলম্বের পর লক্ষ্মীবার দুপুরে বিধানসভায় শপথগ্রহণ করতে চলেছেন ৩ বিধায়ক। তবে ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে ধরনের আয়োজন এ দিন বিধানসভায় চোখে পড়ছে, তা একেবারেই নজিরবিহীন। কারণটা অবশ্য একজনই। আজ বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্যমণি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ৫ মাস যাবৎ বিরোধী দলনেতার ‘নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রীর’ খোঁচা ঘুচিয়ে আজ বিধায়ক পদে শপথ নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন ও সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামও বিধায়ক পদে শপথ নেবেন। তবে যাবতীয় আয়োজন যে মমতার জন্যই, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি, যে নন্দীগ্রাম তাঁকে ‘দুঃখ দিয়েছিল’, সেই নন্দীগ্রামও জুড়ে থাকছে আজকের অনুষ্ঠানে।
বাস্তবেই মাত্র ৩ বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে এমন রাজকীয় প্রস্তুতি আগে দেখেনি বিধানসভা। যেহেতু বেনজিরভাবে রাজ্যপাল আজকে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন, তাই তাঁর উপস্থিতি ঘিরে সেরে উঠেছে বিধানভবন। সকাল থেকেই বাজছে ব্যান্ড-বাজা। সেই সঙ্গে রেড কার্পেটে মুড়েছে বিধানসভা চত্বর। তবে বিধায়কদের শপথে রাজ্যপালের উপস্থিত থাকা এক কথায় বেনজির বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমন ঘটনা আগে কখনই দেখা যায়নি।
সরকারিভাবে বিপুল ভোটে জিতে বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিচ্ছেন মমতা। নন্দীগ্রামে পরাজয়ের যে গ্লানি তাঁকে এবং তৃণমূলকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল, আপাতভাবে তাতে মলম পড়েছে। এবং মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে একপ্রকার তৃণমূলের গরিষ্ঠ অংশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর, সব বিধায়কদের পাশাপাশি শাসকদলের সমস্ত সাংসদকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এমনকি, যেহেতু উপনির্বাচনে ভবানীপুরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকেই মমতা লিড নিয়েছেন, তাই ৮ টি ওয়ার্ডের পুর কো-অর্ডিনেটরদেরও ডেকে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রামের ফলাফল যে তাঁকে দুঃখ দিয়েছিল, দ্বর্থ্যহীন ভাষায় এ কথা একাধিকবার সে কথা জানিয়েছেন তিনি। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনও এই নিয়ে খেদ প্রকাশ করেন মমতা। কিন্তু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি মনে রেখেছেন নন্দীগ্রামকে। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ আবু তাহেরও এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ‘উপেক্ষা’ করবে বিজেপি