কলকাতা : সাত বিধায়কের সাসপেনশনকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সাত বিধায়ক। মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আদালতে বিধানসভার অধ্যক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য , “শুভেন্দু অধিকারী সহ বাকিরা নতুন করে আবেদন করুন। বিধানসভায় অধ্যক্ষ গ্রহন করবেন এবং বিষয়টি বিধানসভাতেই সমাধান করা হবে।” মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ জুন। এই বিষয়ে বুধবার বিধানসভার অধিবেশনের শেষ লগ্নে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ওরা মোশন জমা দিক। তাহলে আজকেই আমরা আলোচনা করে সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখতাম। তবে এখনও কোনও মোশন জমা দেওয়া হয়নি।”
উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমালের কারণে দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও তুলকালাম কাণ্ড বেধে গিয়েছিল। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিধায়কদের একাংশ। সেদিনের ঘটনার জেরে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা সহ পাঁচ বিধায়ক। সবমিলিয়ে বিজেপির সাত জন বিধায়ক এখন বিধানসভার বাইরে রয়েছেন। এই নিয়ে আগেও বিজেপির তরফ থেকে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। মামলা গিয়েছিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে।
বিচারপতি সেই সময় এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিচারপতি মান্থার বক্তব্য ছিল, বিধানসভায় কোনও সমস্যা হলে, সেই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব বিধানসভার অধ্যক্ষেরই। বিরোধ মিটিয়ে বিধানসভার আইন অনুযায়ী বিরোধী দলের সদস্যরা সংযত হয়ে যদি নিজেদের দাবি পেশ করেন, তাহলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
এদিকে সোমবার বিধানসভায় সাসপেন্ড হওয়ার বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য মোশন আনা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে। কিন্তু সেই মোশন গৃহীত হয় না বিধানসভায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাতে ভুল ছিল। এবার এই নিয়ে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা।