Suspended Doctors: ‘প্রকৃত প্রমাণ লোপাট করে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে’, পুজোর পর অনশনে বসার পাল্টা হুঁশিয়ারি থ্রেট কালচারে সাসপেন্ডেড চিকিৎসকদের

Suspended Doctors: আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অতনু বিশ্বাস বলেন, "প্রকৃত তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট করিয়ে দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। এখন তাঁরাই আন্দোলনের কথা বলছেন। কিন্তু আমরা যাঁরা সত্যিকারে গরিব মানুষকে পরিষেবা দিতে চাই, আমাদের মত মানুষকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।"

Suspended Doctors: 'প্রকৃত প্রমাণ লোপাট করে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে', পুজোর পর অনশনে বসার পাল্টা হুঁশিয়ারি থ্রেট কালচারে সাসপেন্ডেড চিকিৎসকদের
আরজি করImage Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2024 | 9:08 PM

কলকাতা:  পুজোর পর সাসপেন্ড ও বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা এবার আন্দোলনের পথে। কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে পুজোর পর অনশনে বসার সম্ভাবনার কথা জানালেন ওই চিকিৎসকরা। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের কয়েকজন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা বেরিয়ে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন।

আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অতনু বিশ্বাস বলেন, “প্রকৃত তথ্য এবং প্রমাণ লোপাট করিয়ে দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। এখন তাঁরাই আন্দোলনের কথা বলছেন। কিন্তু আমরা যাঁরা সত্যিকারে গরিব মানুষকে পরিষেবা দিতে চাই, আমাদের মত মানুষকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।” আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক সৌরভ কুমার দাস বলেন, ” আমরাই প্রথম থেকে সিবিআই-এর দাবিতে আন্দোলন করেছি। অথচ আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। আমরা কোনও অন্যায় অপরাধ করিনি। ইনকোয়ারি কমিটি ওই ছাত্রদের চাপের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে যে তদন্ত রিপোর্ট বের করেছে, তার বিরুদ্ধেও আমরা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে তদন্ত হোক।” তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “শয়ে শয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কেরিয়ার নষ্ট করে দিতে চাইছে এই আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। আমরা কোন অপরাধ করিনি অথচ দোষী হয়ে গেলাম।”

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে তিন দফায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন জুনিয়র চিকিৎসক।  উল্লেখ্য, তাঁরা প্রত্যেকেই সাসপেন্ডেড কিংবা বহিষ্কৃত। পুজো মিটলে এবার তাঁরা পাল্টা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন।

এই খবরটিও পড়ুন

প্রসঙ্গত, তিলোত্তমা কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি আলোচিত হয়েছে, তা হল ‘থ্রেট কালচার’। আরজি করে প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ ওঠে। তদন্তে কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কমিটি আরজি করের ৫১ জনকে সাসপেন্ড করে।