কলকাতা : তাপমাত্রার পারদ যত চড়ছে, ততই বাড়ছে লোডশেডিং-এর বহর। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই একই ছবি। অভিযোগ জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াকেও বেছে নিচ্ছেন অনেকে। তবে বিদ্যুৎ দফতরের দাবি না জানিয়ে লোড বাড়ানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ওপরেই এই পরিস্থিতির দায় চাপাচ্ছে প্রশাসন। সেই অভিযোগ নিয়েই এবার সটান বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল আমলে বিদ্যুতের ঘাটতি কতটা বেড়ে গিয়েছে, দফতরে দাঁড়িয়ে সেই তথ্যও তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। সোমবার অগ্নিমিত্রা পল সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ।
এদিন বিদ্যুৎ দফতরে প্রবেশ করে এক আধিকারিকের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “এসি কে বসাল, তা জেনে আপনাদের কী লাভ? লোড কী করে বাড়াবেন? ১২ বছরে পাওয়ার প্লান্টের কোনও কাজ হয়নি।” শুভেন্দুর দাবি, কোনওদিন ২১ লক্ষ ইউনিট, কোনও দিন ৩১ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়েছে। তা মেটাতেই এভাবে লোডশেডিং করার প্রয়োজন পড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, রাজ্যের সরকার কয়লা কিনতে অক্ষম। ফলে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিটগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই সরকারের আমলে। বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জানতে পারেন, সচিব নেই। পরবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, তিনি কার্যত পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের।
সম্প্রতি, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেছেন, রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। তাঁর বক্তব্য, অনেকে যা লোড নিয়ে রেখেছেন তার থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছেন। লোড না বাড়িয়ে একসঙ্গে অনেক জিনিস চালানোতেই হচ্ছে এই সমস্যা।