‘সে দিন নিজাম প্যালেসের সামনে কেন খাটেনি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন?’ প্রশ্ন শুভেন্দুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 05, 2021 | 7:10 PM

Suvendu Adhikari: ১৭ মে নিজাম প্যালেসের সামনে হওয়া তৃণমূলের বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করে আক্রমণ শুভেন্দুর।

সে দিন নিজাম প্যালেসের সামনে কেন খাটেনি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন? প্রশ্ন শুভেন্দুর
ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনের প্রতিবাদে আজ, সোমবার পথে নেমেছিল বিজেপি। আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার হন গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা নেত্রী। চার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও নিখিলরঞ্জন দে’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও অন্যান্য নেতা কর্মীরাও এদিন গ্রেফতার হন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভাঙার অভিযোগ তোলা হয়। আর এই ঘটনার পরই নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, সে দিন কেন এই আইন কার্যকর হল না?

সোমবার বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলের পর টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ১৭ মে, অর্থাৎ নারদ মামলায় যে দিন চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে দিনের একাধিক ছবি পোস্ট করেন শুভেন্দু। সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত ১৬ মে রাজ্যে করোনার জেরে বিধি-নিষেধ জারি হয়। সেই সময় প্রত্যেকদিন গড়ে ২০ হাজার আক্রান্তের হদিশ মিলছিল বাংলায়। আর ১৭ মে নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায় তৃণমূল।

শুভেন্দুর দাবি ওই দিন কি আইন মানা হয়েছিল? কলকাতা পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল ট্যাগ করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়া থেকে বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: হু হু করে দাম বাড়ছে পেট্রোপণ্যের, প্রধানমন্ত্রীকে ‘প্রতিবাদ পত্র’ মমতার! ১০-১১ জুলাই পথে নামছে তৃণমূলও

একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, বক্তব্য, নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পর যে জমায়েত হয়েছিল তা কি করোনা পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক ছিল না? তা হলে তখন কেন কলকাতা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না? প্রথম থেকেই আজকের এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। বিজেপিও এগিয়েছিল অনড় মনোভাব নিয়ে। কিন্তু পুলিশ তা আটকে দেয় শুরুতেই। করোনা পরিস্থিতিতে এত জমায়েত যে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বড়সড় হুমকি বলে দাবি পুলিশের।

Next Article