কলকাতা : বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক এখনও লেগে রয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা সম্প্রতি একটি দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির সাংগঠনিক গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বিধায়কদের গ্রুপে রয়েছেন অশোক দিন্দা। বিজেপি সূত্রে খবর, এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার তালিকায় যোগ হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নামও। বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা পদাধিকারীদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, এ সব ভুয়ো খবর।
জানা গিয়েছে, মণ্ডল সভাপতি নিয়ে মনোমালিন্যের জেরেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াছাড়ির পর্ব চলছে। অশোক দিন্দার পর এবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারীও। অশোক দিন্দার প্রতি সমর্থন জানিয়েই বিরোধী দলনেতা এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বলে খবর। দলীয় সূত্রে খবর, অশোক দিন্দার পছন্দের পাঁচজনকে মণ্ডল সভাপতি করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তবে তাঁর সেই দাবি গুরুত্ব পায়নি শেষ পর্যন্ত। সেই কারণেই গতকাল অশোক দিন্দা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ছিলেন বলে বিজেপি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি কোনও গ্রুপ ত্যাগ করেননি।
যদিও শুভেন্দু অনুগামীদের একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি কোনও জেলার নেতা নয়। তাঁকে না জানিয়েই বিভিন্ন জেলার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁকে যোগ করা হয়েছে। তাই জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য অশোক দিন্দার পাশাপাশি, নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব গিরিও এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি ছেড়ে দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র মারফত খবর। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ভোটের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপি ত্যাগের একটি হিড়িক দেখা গিয়েছে। যাঁরা দলে রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের একাংশের মধ্যেও অসন্তোষ বিভিন্ন কারণে। অতীতেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে বিভিন্ন বিজেপি নেতাকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে। এবার অশোক দিন্দার সাংগঠনিক গ্রুপ ত্যাগ করার খবর ছড়ানো এবং তার পরপরই শুভেন্দু অধিকারীরও গ্রুপ ত্যাগের গুঞ্জনে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দিয়ে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা? বগটুইকাণ্ডে ফের মামলা হাইকোর্টে