কলকাতা: তৃণমূল যখন ‘শহিদ দিবস’ সর্বভারতীয় স্তরে পালন করছে, তখন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একবার সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ৫ মে থেকে গতকাল অবধি ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুভেন্দুর কথায়, ‘যা ঘটেছে তাকে গণহত্যা বলা যেতে পারে।’ পাশাপাশি এ দিন বিজেপি যে ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’র আয়োজন করেছিল, সেই সভা থেকে তৃণমূলকে সমূলে উৎপাটন করার বার্তা দিলেন শুভেন্দু।
এ দিন তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যাদের দুধেল গাই বলেন, তারা পাড়ার পর পাড়ায় লুঠ চালিয়েছে। মহিলাদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় আমরা লজ্জিত। তাঁর দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা হৈমচূড়ার কণামাত্র। ওই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাই এ দিন শুভেন্দু বলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বিজেপি পাঠায়নি,আদালত বলেছিল।
তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘যাদের এক কান কাটা তারা রাস্তার এক পাশ দুটো কান কাটা হয় রাস্তার মাঝখান দিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূলকে উপড়ে ফেলতে যা করার শুভেন্দু অধিকারী করবে।’
অন্যদিকে, এ দিন মমতা দাবি করেছেন ভোট পরবর্তী হিংসায় আদতে কিছুই ঘটেনি রাজ্যে। একুশের মঞ্চ থেকে এ দিন মমতা বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় কিচ্ছু ঘটেনি। বিজেপির কিছু লোক মানবাধিকার কমিশনের কর্মী হয়ে গিয়েছে। তারাই রিপোর্ট দিয়েছে। এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুল। এগুলো সবই ভোটের আগের ঘটনা।’ মমতা বলেন, ‘কমিশনের অফিস যেন বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল। জানি না কী ভাবে চাপ তৈরি করেছিল ওরা।’ রিটার্নিং অফিসার থেকে পুলিশ সুপার সবাইকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘খেলা’ কতদিন চলবে? দ্বর্থ্যহীন ভাষায় জানালেন মমতা, ‘খেলা দিবস’-ও পালন করবে তৃণমূল