কলকাতা: নবান্ন থেকে মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় প্রার্থী নির্বাচন কেন প্রশাসনিক ভবনে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কিন্তু সেই প্রশ্নেই মাথা ঘামাতে রাজি নন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত যাই হোক মুখ্যমন্ত্রীকে মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মানুষ।
এ দিন কার্যত আক্ষেপের সুরে শুভেন্দু বলেন, “উনি এইসব করার পরও ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছি আমরা। রাজ্যের বড় অংশের লোক এটা মেনে নিয়েছেন। এটা আজ নতুন নয়।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধী দলনেতা হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন প্রার্থী ঘোষণা প্রশাসনিক ভবন থেকে হোক বা দলীয় কার্যালয় থেকে এই সব জিনিস সাধারণ মানুষের বিচার্য বিষয় নয়। আখেরে ভোট তৃণমূল পায় এবং জয়ীও হয়।
এই কথা বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা তুলে ধরেছেন অতীতের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “আমি যখন মৌসম নূরকে নিয়ে এসেছিলাম দেখা করাতে। বললেন আমি এখানেই যোগদান করিয়ে নিচ্ছি। আমি দেখা করাতে নিয়ে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম সুব্রত বক্সীকে বলবেন তৃণমূল ভবনে জয়েন করাতে।” শুভেন্দু জানালেন, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এখানেই জয়েন করিয়ে দিচ্ছি।” বিজেপি নেতা বললেন, “নিচে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, গনি খান চৌধুরীর পরিবারের একজন যোগদান করলেন। এটা মেনে নিয়েই অনেকে ভোট দেন।”