কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল হওয়ার পর থেকেই মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির বাঘা-বাঘা নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ, জগন্নাথ সরকার তো বটেই, খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও বলতে শোনা গিয়েছে, সব সিদ্ধান্ত তিনি নেন না, কিন্তু রাজ্য সভাপতি হওয়ায় দায় তাঁকেই নিতেই হবে। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন আকার ইঙ্গিতে এই সকল রাজ্য নেতারা কি বিজেপির ফলাফল খারাপের পিছনে আঙুল তুলছেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে? এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শুভেন্দু। একদিকে যেমন স্পষ্ট জানালেন, তিনি সাংগঠনিক কোনও সিদ্ধান্ত নেন না। তেমনই অভিমানের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। বললেন, “ভাল করলে তাঁদের ক্রেডিট, খারাপ হলে আমার দায়।”
প্রসঙ্গত, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের পরাজয়ের পরই প্রশ্ন উঠছিল তাঁর কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্ত আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না। এ নিয়ে দিলীপ যেমন বলেও দিয়েছিলেন, “পার্টির পুরনো প্রতিষ্ঠিত নেতাদের হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? লোকে হারা সিট জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন তো মনে হচ্ছে জেতা সিট হারানোর জন্য প্ল্যানিং হয়েছে।” মুখ খুলেছেন সৌমিত্র খাঁ থেকে জগন্নাথ সরকারও। ওয়াকিবহল মহল প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি ঘুরিয়ে নাক ধরতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপি-র তাবড় মুখরা? নাম না করেই কি শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করছেন?
তবে বিরোধী দলনেতা বললেন, “আমাকে যেখানে প্রচার করতে যেতে বলা হয় সেখানে যাই। সংগঠিত করার কাজ আমার নয়। কেবলমাত্র আমার জেলাতে পার্টির সংগঠনের নেতারা রাজ্যের নির্দেশিকাও যেমন পালন করেন, আমার পরামর্শও মেনে চলেন। এর বাইরে সাংগঠনিক ব্যাপারে আমি কোনও দিন হস্তক্ষেপ করি না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি এও বলেন, “আমি শৃঙ্খলা পরায়ণ লোক। তৃণমূলে থাকাকালীন ভাইপো-মুকুল রায় আমার পিছনে লেগে থাকত। আমি বলিনি। এখন দলের অনেকে পোস্ট করেন। ভাল হলে নিজের ক্রেডিট নেন। খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান। আমি কখনও দলের অভ্যন্তরের বিষয় বাইরে বলিনি।” এরপরই প্রশ্ন উঠছে তবে কি নাম না করে দলেরই একাংশের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপি নেতা?