Suvendu Adhikari: ওবিসি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট-কে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য? এবার পাল্টা হাইকোর্টে মামলার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 26, 2025 | 6:36 PM

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর দাবি, মূলত কমিশনের দ্বারা যাঁদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাঁরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই  সংক্রান্ত একটি মামলা হয়, যে তালিকা জাতীয় ওবিসি কমিশন দ্বারা অনুমোদিত নয়।

Suvendu Adhikari: ওবিসি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট-কে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য? এবার পাল্টা হাইকোর্টে মামলার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওবিসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে রাজ্য সরকার রিসার্ভে করার জন্য সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, আসলে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশের আগেই সার্ভে শুরু করে দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ ওবিসি মামলা ইচ্ছা করেই পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। আর তার দ্বারা বিশেষ এক সম্প্রদায়কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এসবের জটিলতায় কয়েক লক্ষ নিয়োগ আটকে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।  গোটা বিষয়টিই সাংবাদিক বৈঠক করে নথি-সহযোগে সামনে আনেন শুভেন্দু। হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দেন তিনি।

বৈঠকের শুরুতেই শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংবিধান, পার্লামেন্ট, বিচারব্যবস্থা কাউকেই মানে না, এটা বারেবারেই প্রমাণিত হয়েছে। সিপিএমের সময় থেকে শুরু হয়েছিল, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোককে অবৈধভাবে ওবিসি-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ২০১১ সালের পরে তোষণের সরকার এটাকে বটবৃক্ষতে পরিণত করেছে। ওবিসির অতীত ইতিহাস সবাই জানে।”

শুভেন্দুর কথায়, “আমাদের আপত্তি এখানেই। শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে মূলত ওবিসি-র তালিকায় না থাকা, প্রায় নতুন করে ১১৩টি জনগোষ্ঠীকে ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র চারটি হিন্দু জনগোষ্ঠী, ১০৯টি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যাঁরা মূল ওবিসি তালিকায় নেই। স্বাভাবিকভাবে এটা করতে গিয়ে ১৭ শতাংশ সংরক্ষণে ওবিসি A ও ওবিসি B সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে।”

উদাহরণ দিয়ে কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট নিয়োগের একটি তালিকা দেখান।  তিনি বলেন, “৫০জনের তালিকা সকলের মোবাইলে ঘুরেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২ জন হিন্দু জনগোষ্ঠীর, বাকিরা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর।”

শুভেন্দুর দাবি, মূলত কমিশনের দ্বারা যাঁদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাঁরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই  সংক্রান্ত একটি মামলা হয়, যে তালিকা জাতীয় ওবিসি কমিশন দ্বারা অনুমোদিত নয়। শুভেন্দুর কথায়, “রাজ্য সংরক্ষণের মাপদণ্ড ঠিক করতে পারে না। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে পরে হাইকোর্টে জাতীয় কমিশনের অনুমোদনের বাইরে যে ১১৩ টি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল বাতিল করে। তোষণের রাজনীতি করে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে।”

এরপরই শুভেন্দু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, “রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছে। সার্ভে আগে থেকেই শুরু হয়েছে।” একটি নথি দেখিয়ে দাবি করেন চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে সার্ভে শুরু হয়ে গিয়েছে।

শুভেন্দু আরও একটি নথি দেখান। সেখানে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্ট সার্ভে করার অর্ডার দিয়েছে ১৮ মার্চ। কিন্তু সরকার আগে থেকেই সার্ভে শুরু করে দিয়েছে। শুভেন্দুর অফিযোগ, “এই সার্ভেগুলো ভার্বালি হচ্ছে, এগুলো মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ করাচ্ছেন।”

উদাহরণ স্বরূপ নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের একটি ঘটনা তুলে ধরেন। শুভেন্দুর দাবি, নন্দীগ্রামের বিজেপি সভাপতি শ্যামল সাউ সেখানকার বিডিও-কে অন ক্যামেরা চার্জ করেছিলেন। তাঁর কথায়, “বিডিও স্বীকার করেন, তিনি দফতরের নির্দেশে কাজ করছেন, কোনও অর্ডার কপি নেই। অর্থাৎ আদালতে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন সার্ভে হচ্ছে।” এই গোটা বিষয়টি হাইকোর্টের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

</a