কলকাতা: রাজ্য সরকারকে ফের একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে এবার বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায় চার হাজার অস্থায়ী হোম গার্ড (Temporary Home Guard Recruitment নিয়োগের ঘোষণা করেছে রাজ্য। আর এই নিয়োগ নিয়েই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে অস্থায়ী হোমগার্ডদের নিয়োগ করা হচ্ছে? সেই নিয়েই টুইটারে সরব তিনি। যোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে জানতে পারবেন নিয়োগ সম্পর্কে? তা নিয়েও প্রশ্ন শুভেন্দুর।
সোমবার সকালে এক টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর ছয় মাসের জন্য দৈনিক ৫৬৫ টাকার চুক্তিতে কয়েক হাজার অস্থায়ী হোম গার্ড নিয়োগ করছে। কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এই পদগুলিতে পূরণ করা হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর। সঙ্গে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, সম্ভবত পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের ক্যাডারদের এভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কিংবা হয়ত শূন্যপদগুলি ঘুষের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
WB Home Department is enrolling thousands of Temporary Home Guards for 6 months @ Rs. 565 per day.
With no public declaration of the recruitment drive, probably TMC Cadres are being engaged before Panchayat Elections in a shady way or posts are being sold in exchange of bribe. pic.twitter.com/ENth3jAKvi— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 9, 2023
সঙ্গে আরও একটি টুইট করছেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি উলুবেরিয়া থানায় নিয়োগ পাওয়া এমন ২৬ জন অস্থায়ী হোমগার্ডের তালিকাও তুলে ধরেছেন। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ইতিমধ্যেই নিয়োগ পাওয়া হোমগার্ডদের বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে হয়েছে? কারা এই বাছাই করেছেন? কী যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে?
যদিও এই নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, “যিনি অভিযোগ করছেন, তিনিই সম্ভবত শব্দের আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। প্রত্যেক বছর কোনও না কোনও নির্বাচন থাকে। গতবছর বিধানসভা ভোট ছিল, তারপর পুরসভা ভোট ছিল, এই বছর পঞ্চায়েত ভোট আছে, আগামী বছর লোকসভা ভোট আছে। তাহলে তো কখনও কোনও কাজ করা যাবে না। করলেই মনে হবে, ওই জন্য কাজ করা হচ্ছে। হোমগার্ড নেওয়ার বিষয়টি প্রশাসনিক বিষয়, আমাদের বিষয় নয়। যদি নেওয়া হয় হোমগার্ড, কী সমস্যা? যদি তাঁরা মনে করে কোনও সমস্যা আছে, তাহলে আদালতে যান। আসলে ওদের গায়ের জ্বালা হল নিয়োগে। ওরা চায় না কোনও নিয়োগ হোক।”