কলকাতা: বাংলায় বিধানসভায় কীভাবে রীতি নীতি ও নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে, তা জানিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দলনেতাদের চিঠি পাঠাল বিজেপি পরিষদীয় দল। চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ইতিমধ্যেই এ বিষয় নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। দেখাও করে এসেছেন। বিধানসভায় রীতি নীতি ভাঙায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে (পিএসি) মুকুল রায়ের চেয়ারম্যান হওয়াকে অস্ত্র করেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। পিএসিতে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছে বেআইনিভাবে। তা উল্লেখ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
এই বিষয় নিয়ে আদালত যাওয়া, অন্য রাজ্যের বিধানসভাকে অবহিত করেই চুপ করে থাকতে চান না শুভেন্দু। এবার বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সময় মিললে আগামী সপ্তাহে দিল্লি যেতে চান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর সঙ্গী হবেন দলের বিধায়কদের কেউ কেউ।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সময় মিললেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। পিএসি বিতর্ক, বিধানসভায় বিরোধীদের কথা বলার অধিকার খর্বের অভিযোগ তুলে ধরবেন।
সর্বসমক্ষে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও কীভাবে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মুকুল রায়? এই নিয়ে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিল বিজেপি। সেই মতো আইনি পথে হাঁটে গেরুয়া শিবির। আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়।
জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় জানতে চান, কীভাবে এবং কোন যুক্তিতে মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হল? বিজেপি যে ৬ বিধায়কের নামের তালিকা দিয়েছিল, সেখানে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। তাহলে কৃষ্ণনগরের বিধায়ককে কীভাবে বিজেপি দ্বারা মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দেখানো হচ্ছে? বিজেপি বিধায়কের দাবি, যে মর্মে মুকুলকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এবার এই ইস্যুটিকে সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য আগেই বলেছিলেন, “স্পিকার যাকে চাইবেন তাঁকে চেয়ারম্যান করবেন। এক্ষেত্রে কোনও নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমাদের এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই।” অন্যদিকে, তৃণমূলের এক আইনজীবীও স্পষ্ট করেছিলেন, “আইনসভায় স্পিকারই সর্বময় কর্তা। তাই তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এক্ষেত্রে মুকুলকে স্পিকার পিএসি-র চেয়ারম্যান করলে বিজেপি পরিষদীয় দলের কিছুই করার থাকবে না।” আরও পড়ুন: আজ প্রকাশিত দ্বিতীয় কিস্তি! ঘাসফুলের মুখপত্রে অজন্তার লেখনীতে কি উঠে এল মমতার নাম?