আজ প্রকাশিত দ্বিতীয় কিস্তি! ঘাসফুলের মুখপত্রে অজন্তার লেখনীতে কি উঠে এল মমতার নাম?
Ajanta Biswas: যদিও অজন্তা বিশ্বাসের এ হেন যুক্তি খুব একটা মানতে রাজি নন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কলকাতা: বুধের পর বৃহস্পতিবারও! আজও, ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla) সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের (Ajanta Biswas) লেখার দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত। সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র একদা সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যার লেখা কেন ঘাসফুলের মুখপাত্রে? গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গ রাজনীতিতে এ নিয়ে হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। অজন্তা বিশ্বাসের মুখ থেকেই এর উত্তর পেতে চেয়েছেন পাঠককুল। কিন্তু নাহ, মেলেনি উত্তর। যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি গত ২৪ ঘণ্টায়। ফোন নট রিচেবল! বরং আজ, বৃহস্পতিবার জাগো বাংলায় প্রকাশিত হল অজন্তার লেখার দ্বিতীয় কিস্তি।
বুধবার ‘জাগো বাংলা’য় অজন্তা বিশ্বাসের একটি লেখা প্রকাশিত হয়। প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসের চালচিত্রে বঙ্গ রাজনীতিতে বাঙালি মহিলাদের অবদান নিয়ে কলম ধরেন তিনি। বিশেষ অলঙ্কৃত স্ট্র্যাপে লেখা ‘বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
বুধে প্রকাশিত প্রথম কিস্তিতে সে অর্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আসেনি অজন্তার লেখায়। তবে বিতর্ক ছড়িয়েছে উল্কাগতিতে। বাম মনস্ক অজন্তা কেন তৃণমূলের মুখপত্রে কলম ধরতে গেলেন? বুধবার ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে পত্রিকায় প্রকাশিত করার জন্য লেখা চাওয়া হয়েছিল। তিনি জানতেন না কোন পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপা হবে?
যদিও অজন্তা বিশ্বাসের এ হেন যুক্তি খুব একটা মানতে রাজি নন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, কীভাবে তিনি পত্রিকার নাম না জেনেই লেখা দিয়েছেন? এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটও। রাজনৈতিক সচেতকদের কথায়, অজন্তা ঘনিষ্ঠ মহলে যে দাবি করেছিলেন, তা যে মোটেও যুক্তিগ্রাহ্য নয়, তার প্রমাণ মেলে বৃহস্পতিবার।
এদিন প্রত্যাশিতভাবেই প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কিস্তি। তাতেও বঙ্গ রাজনীতিতে নারী শক্তির অবদানের আরও এক অধ্যায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে লেখনীতে। উঠে আসে প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদার ও কল্পনা দত্তের ইতিহাস। যুগান্তর দলের সদস্যরা যে লাঠিখেলা থেকে সাঁতার কিংবা শরীরচর্চায় দক্ষ ছিলেন, তা বোল্ড অক্ষরে হাইলাইটও করা হয় প্রতিবেদনে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনও কি অজন্তা বলবেন তিনি কিছুই জানতেন না লেখা কোথায় প্রকাশিত হচ্ছে? কারণ বুধবারের জোর বিতর্কের পর তো এ সম্পর্কে তাঁর অবগত থাকাই স্বাভাবিক! তবে কি এটা পরিকল্পিত?
জল্পনার মাঝেই অজন্তার চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান ঠিক কী, সেই বিশ্লেষণ হয়তো প্রকাশিত হবে শুক্রবার। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিশেষ জলঘোলা করতে রাজি না জাগো বাংলার সম্পাদক কিংবা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বিজেপিকে রুখতে বামেরা তৃণমূলের কাছে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে এটি প্রথম ধাপ বলেই ইঙ্গিত দেন পার্থ। কিছুদিন আগে তৃণমূলের কাছে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিমান বসুও! তবে অনিল কন্যাকে নিয়ে আলিমুদ্দিন যে প্রশ্নবাণে জর্জরিত, তা স্পষ্ট বিশ্লেষকদের কাছে। আপাতত মৌনতা বজায় রেখেই বিতর্ক কি এড়াতে চাইছেন অজন্তাও? গুঞ্জন তুঙ্গে। আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে মমতার অবদান কতটা? ‘জাগো বাংলা’য় কলম ধরলেন অনিল-কন্যা