বঙ্গ রাজনীতিতে মমতার অবদান কতটা? ‘জাগো বাংলা’য় কলম ধরলেন অনিল-কন্যা

Jago Bangla: বঙ্গরাজনীতিতে নারীদের অবদান নিয়ে কলম করেছেন অজন্তা বিশ্বাস। সম্পাদকীয় কলমে আগামিকাল তার আরও একটি অধ্যায় প্রকাশিত হবে।

বঙ্গ রাজনীতিতে মমতার অবদান কতটা? 'জাগো বাংলা'য় কলম ধরলেন অনিল-কন্যা
জাগো বাংলায় অনিলকন্যার লেখনী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 1:08 PM

কলকাতা: তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কলম ধরলেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র ভূতপূর্ব সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের (Anil Biswas) কন্যা অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas)। ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারী শক্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিককালের রাজনীতিতে মহিলা রাজনীতিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন অজন্তা।

অনিল-কন্যা অজন্তা পেশায় অধ্যাপক। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে কর্মরত। একদা প্রেসিডেন্সি কলেজে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন অজন্তা বিশ্বাস। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও এসএফআই নেত্রী হিসাবে পরিচিত মুখ ছিলেন অজন্তা বিশ্বাস। সিপিএম পার্টির সদস্য হলেও মূল স্রোতের রাজনীতিতে সামনের সারিতে পরবর্তীকালে সেভাবে দেখা যায়নি ইতিহাসের এই ছাত্রীকে। বরং লেখাপড়া, গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। এহেন আপাদমস্তক বাম মনস্ক অজন্তার কলম তৃণমূলের বুধবারের মুখপত্রে প্রকাশিত হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জল্পনার জলও গড়াচ্ছে বিস্তর।

অজন্তা বিশ্বাসের লেখাটির জন্য পত্রিকায় ‘স্ট্র্যাপ’ করে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। ওপরে লেখা প্রাক স্বাধীনতা পর্ব থেকে সাম্প্রতিক কালের ইতিহাসের চালচিত্রে বাঙালি মহিলাদের অবদান!

তবে বুধবার প্রকাশিত ‘জাগো বাংলা’য় অজন্তা বিশ্বাসের এই প্রতিবেদনের মূল অংশ যেটুকু ছাপা হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সে অর্থে আসেনি। বরং নাম এসেছে সুনীতিদেবী, সরোজিনী নাইডু, মোহিনী দাশগুপ্তা, উর্মিলাদেবী প্রমুখের। কিন্তু শিরোনামেই স্পষ্ট, এরপরের অংশেই সম্ভবত আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

সম্পাদকীয় কলমে আগামিকাল এই প্রতিবেদনের আরও একটি অধ্যায় প্রকাশিত হবে। বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অবদান  কীভাবে দেখছেন তিনি, তা পাঠের অপেক্ষাতেই পাঠককুল। সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের কন্যার চোখে তৃণমূলনেত্রীর অবস্থান ঠিক কী, সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

৩৪ বছরের বাম আমলের ইতিহাস বলছে, অনিল বিশ্বাসের সঙ্গে তত্কালীন প্রধান বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল অহিনকুল। বাম শাসনেই প্রয়াত হয়েছেন অনিলবাবু। ২০১১ সালে রাজ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। এরপরও অজন্তার বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্প্রিক্ততা সুবিদিত। তাহলে হঠাৎ কী এমন ঘটল যে অনিল-কন্যা তৃণমূলের মুখপত্রে কমল ধরলেন? প্রশ্ন অনেক, আপাতত উত্তর নেই।  আরও পড়ুন: চব্বিশের সলতে পাকাচ্ছেন নেত্রী! ২ বছরের মাথায় ফের দশ জনপথে মমতা-সোনিয়া মুখোমুখি