Suvendu Adhikari: স্পিকারের বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ জানাতে বারুইপুরে সভা শুভেন্দুর, পাল্টা কর্মসূচি তৃণমূলের!

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 19, 2025 | 12:10 PM

Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ধর্ষণ, মহিলা নির্যাতন রুখতে ‘অপরাজিতা বিল’ এনেছে রাজ্য সরকার। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, অপরাজিত বিল নিয়ে আলোচনার দিন তাঁকে পদে পদে বাধা দিয়েছেন বিমান।

Suvendu Adhikari: স্পিকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে বারুইপুরে সভা শুভেন্দুর, পাল্টা কর্মসূচি তৃণমূলের!
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি শুভেন্দু অধিকারীর
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: অধিবেশনে বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তাই জন্য স্পিকারের বিরুদ্ধে ‘নালিশ’ জানাতে স্পিকারের বিধানসভা কেন্দ্রতেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা। করবেন মিছিলও। বারুইপুর পশ্চিমের রাসমাঠ থেকে পুলিশ সুপারের দফতর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল। মিছিল শেষে জনসভাও করবেন তিনি। এদিকে, পাল্টা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলেরও। বারুইপুরে দুটি পথসভার ঘোষণা করেছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বারুইপুর পুরাতন বাজার এলাকা ও বারুইপুর ঋষি বঙ্কিম মোড় এলাকায় পৃথক পথসভা করা হবে। জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বারুইপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান গৌতম দাস। রাস্তায় গঙ্গাজল ঢেলে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচিও নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। উল্লেখ্য, যে দুটি মোড়ে পথসভা করবে তৃণমূল, তার সামনে দিয়েই মিছিল করে যাওয়ার কথা শুভেন্দুর। অশান্তি উত্তেজনার পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর প্রশাসন।

মঙ্গলবারই বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, “বিকাল তিনটেয় বারুইপুরে বিজেপির সব বিধায়করা যাবেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বারুইপুর থেকে জেতেন, তাঁর ইতিহাস কাল ওখানে বলব। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়ে অপরাজিতা বিলে বিরোধী দলনেতাকে কীভাবে বাধা দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বারুইপুরের ভোটারদের সামনে তুলে ধরব।”

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ধর্ষণ, মহিলা নির্যাতন রুখতে ‘অপরাজিতা বিল’ এনেছে রাজ্য সরকার। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, অপরাজিত বিল নিয়ে আলোচনার দিন তাঁকে পদে পদে বাধা দিয়েছেন বিমান। তিনি কিছু বলতে গেলেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যদিও এই মিছিল নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মিছিল করতেই পারেন। কার কী বলার আছে? ওখানে অনেক মানুষ রয়েছে, তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা আমি বলতে পারব না। এটা তো এমন নয়, নন্দীগ্রামে মিছিল করতে গেলাম, সেখানে আমাদের বাধা দেওয়া হল। সেরকম কিছু হবে না।”

বিজেপির যাদবপুরের জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন জোতদার বলেন, “এখানে জনসভা সফলভাবেই হবে। যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার লোকেরাই এখানে বেশিরভাগ থাকবেন। এক সপ্তাহ ধরে চিঠির মাধ্যমে এসডিও, এসডিপিও, থানার থেকে অনুমতি নিয়েছি।” যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম দাসের বক্তব্য, বারুইপুরে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। তাঁর কটাক্ষ,  “যদি প্রয়োজন হয় স্টেজ বেঁধে দেব, মাইক বেঁধে দেব, কিন্তু লোকটা ওদের নন্দীগ্রাম থেকেই জোগাড় করতে হবে।”