কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) করা একটি টুইট নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই টুইটে (Tweet) ‘কয়লা ভাইপো’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, বুধবারই সে কথা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি শেষ হল। শুক্রবারই রায়দান হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবারও বিচারপতি বলেন, কয়লা ভাইপো কে, সত্যি বুঝতে পারছি না। এই মামলার বিষয় কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও এদিন বুঝতে চেয়েছেন বিচারপতি। বিরোধী দলনেতার এই টুইটে শিশুর অধিকার আদৌ ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। গত বছরের ১৩ নভেম্বর একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনে অভিযোগ জানান শিল্পা দাস নামে এক মহিলা। তারপরই শো-কজ নোটিস পাঠানো হয় শুভেন্দুকে। কমিশনের সেই নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এদিন জানতে চান, কীভাবে শিশুর অধিকার এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন হচ্ছে? যাঁকে নিশানা করে টুইট করা হয়েছে, সেই মানুষটাকেই আক্রমণ করা হচ্ছে বলে মত বিচারপতির।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, তারা প্রাথমিক তদন্ত করে শোকজ নোটিস দিয়েছিলেন। তাদের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে বোঝা গিয়েছে, কোনও একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করেই মন্তব্যটি করা হয়েছে, যার শিশুপুত্রের জন্মদিন আছে। কমিশন আরও উল্লেখ করেছেন, প্রতি মানুষের একটা ব্যক্তিগত পরিসর আছে। এ ক্ষেত্রে সেটা নষ্ট হচ্ছে। তাঁর পরিচয় গোপন থাকছে না। কমিশন জানায়, তাদের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
অভিযোগকারিণীকে আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এটা কি সিরিয়াস কেস? একজন শিশুর অধিকার খর্ব করার মতো ততটা কী সিরিয়াস? অভিযোগকারিণী আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শিশুর পরিচয় প্রকাশ হতে পারে। তাকে হাস্যস্পদ করা হতে পারে।
বিচারপতি আরও বলেন, ‘সত্যি বুঝতে পারছি না কয়লা ভাইপো কী?’ শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার এদিন কমিশনের বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘কমিশনকে কোনও কাজ করতে দেখা যায় না। কারও নাম না বললে কীভাবে কমিশন অভিযোগ নিতে পারে?’