কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা নিয়ে জেলায় জেলার অসন্তোষ চলছে। গ্রাম স্তরে সমীক্ষা চালানোর পরেও কমছে না ক্ষোভ। অনেক জায়গাতেই অভিযোগ উঠছে, যাঁরা যোগ্য, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় এবার আবাস প্লাস (Awas Plus) প্রকল্প নিয়ে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জানালেন, তাঁর কাছে আবাসের তালিকা নিয়ে অসন্তোষের কথা উল্লেখ করে বহু হোয়াটসঅ্যাপ ও মেইল আসছে। এখনও পর্যন্ত সাড়ে চারশো মেইল তিনি পেয়েছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু।
বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, “এখনও পর্যন্ত আমি সাড়ে চারশো মেইল পেয়েছি। তাতে বলা হচ্ছে, পাকা বাড়ি রয়েছে, একবার বাড়ি পেয়েছে, ১৭ দফা গাইডলাইন ভেঙে তৃণমূলের লোকেদের দেওয়া হচ্ছে। টাকা হয়ত রাজ্যের নির্দেশে জেলাশাসকরা দিয়ে দেবেন। কিন্তু গাইডলাইন যদি ভাঙা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ারের টাকা আমরা ফেরত করাব। সুদ সহ টাকা ফেরত করানোর ব্যবস্থা আমরা করব।”
পাশাপাশি রাজ্যের বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের আবাসের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, “আজ ২৮ তারিখ তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। প্রায় ৮২ শতাংশ তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি। ২০১৮ সালের তালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েতের লোকেরা করেছে। এতে বহু গরিব মানুষ, বিশেষ করে বিজেপি সমর্থকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যে সব বুথে বিজেপি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছিল, সেই জায়গাগুলিতে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে।”
২০১৮ সালের তালিকায় যে যোগ্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নাম ছিল না তাঁদের জন্য পরবর্তী সময়ে দরবার করা হবে বলেও জানান তিনি। এরজন্য প্রয়োজনে জনস্বার্থ মামলা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন শুভেন্দু। কিন্তু যাঁদের নাম ২০১৮ সালের তালিকায় ছিল, কিন্তু যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কেবল বিজেপি করার কারণে বর্তমানে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও অভিযোগ পেলে যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, তাও বুঝিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। এমন যদি কেউ থাকেন, তাঁদের ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী নাম ও ক্রমিক নম্বর বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও বিধায়কদের কাছে জমা করার পরামর্শ দেন তিনি। সেই সব নামের তালিকা দিল্লিতে পাঠিয়ে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্য আনানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগের বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ” এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। প্রশাসন দেখছে গোটা বিষয়টি। ২০১৮ সালের তালিকা ২০২২ সালে দেখা হচ্ছে। এর মাঝে কেউ যদি বাড়ি পাকা করে থাকে, এটা স্থানীয় জটিলতা। এই চার বছরে যত মাপকাঠি আছে, তার মধ্যে কেউ পরে যেতে পারেন। রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”