কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী আজ, সোমবারই মুখোমুখি হতে পারেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্য বিধানসভায় পৌঁছনোর কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর এই পদত্যাগপত্র ক্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। নির্দেশ দিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম মেনে সশরীরে উপস্থিত থেকে অধ্যক্ষের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দিতে হবে শুভেন্দুকে। এদিন সে প্রক্রিয়াই সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। অন্যদিকে শুভেন্দুর সঙ্গে যে বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের কেউ এদিন পদত্যাগপত্র জমা দেন কি না তা সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন: করোনার গেরোয় সিএএ, একুশের আগেই কি কার্যকর? ‘ক্রোনোলজি’ বোঝালেন অমিত
বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিধায়ক যদি তাঁর পদ ছাড়তে চান সেক্ষেত্রে নিজের হাতে পদত্যাগ পত্র লিখতে হবে। সেই চিঠি নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে সশরীরে হাজির থেকে বলতে হবে, স্বেচ্ছায় স্বতঃপ্রণোদীতভাবেই তাঁর এই পদত্যাগ। কোনওরকম চাপের মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেননি। অধ্যক্ষ যখন নিশ্চিত হবেন, কোনওরকম বাইরের চাপ ছাড়াই বিধায়ক তাঁর পদ ছাড়ছেন, তখনই সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হবে। বিধায়ক পদও খারিজ হবে।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিধানসভায় হাজির হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার আবেদনপত্র জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ভবনে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে বিধানসভার সচিবালয়ে শুভেন্দুকে তাঁর হাতে লেখা পদত্যাগের আবেদন জমা দিতে হয়। পাশাপাশি ইমেল মারফৎ অধ্যক্ষকে এই ইস্তফাপত্রের একটি প্রতিলিপি পাঠান।
এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমার হাতে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া হয়নি। একমাত্র আমারই এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। আমি দেখব, এই ইস্তফাপত্র স্বেচ্ছায়, স্বতঃপ্রণোদীতভাবে দেওয়া হয়েছে। তারপরই তা গ্রহণ করা সম্ভব।” তাছাড়া ইস্তফাপত্রে কোনও তারিখের উল্লেখও নেই বলেও জানান বিমানবাবু। এরপরই শুভেন্দুকে সোমবার আরও একবার বিধানসভায় আসার কথা বলেন। শুভেন্দুও জানান, তিনি আসবেন।
আরও পড়ুন: অচ্ছি বাত! কপিরাইট উঠলে ঠাকুরের গান বাঁচবে অনেকদিন, আলুপোস্তয় ভাত মেখে বললেন অমিত
উল্লেখ্য, শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের আরও ছ’জন বিধায়ক। তাঁরাও এদিন পদ ছেড়ে নতুন করে লড়াইয়ের কথা ভাবছেন কি না তা স্পষ্ট হবে।