অচ্ছি বাত! কপিরাইট উঠলে ঠাকুরের গান বাঁচবে অনেকদিন, আলুপোস্তয় ভাত মেখে বললেন অমিত
কথাপ্রসঙ্গে সেই ভাবনাই বেরিয়ে এল অমিত শাহর কথাতেও। রবিঠাকুর বেঁচে থাকবেন আরও আরও অনেক দিন...
বীরভূম: রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের পাশে বসে বাউল ঘরে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পাশে বসেই পাত পেড়ে খেয়েছেন বাকি বিজেপি নেতারাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাতে তখন ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, পালং শাকের তরকারি। খাওয়াতে মন শাহের। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে তখন কথা বলছেন স্বপন দাশগুপ্ত।
বাংলার রবিঠাকুরের গানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হচ্ছে। স্বপন দাশগুপ্ত বলছেন, “রবিঠাকুরের গানের কপি রাইট উঠেছে গিয়েছে। গানের টিউন নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হচ্ছে।” কথা শেষের আগেই অমিত শাহ বললেন, “এ তো ভাল কথা।” রবিঠাকুরের গান আরও বেশি করে তাতে মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন বলেও জানান অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুই কি একুশে বিজেপির মুখ? প্রশ্নের উত্তরে অকপট অমিত শাহ
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকদের অনেকেই প্রশ্ন করেন, রবীন্দ্রসঙ্গীতের কপিরাইট বা স্বত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকে আবার দাবি করেন, থা উল্টোপাল্টা হলেও যদি যথার্থ ভাব দিয়ে, দরদ দিয়ে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হয়, ক্ষতি কী? অনেকে আবার প্রশ্নও করেন, যাঁরা যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গাইছেন, তাঁরা সবাই কি শুধু স্বরলিপি পাঠ করেন? তাঁর উত্তরে আবার অনেকেই বলেন, বিশ্বভারতীর কপিরাইট চলে যাওয়ার অর্থ রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে যথেচ্ছাচার করা নয়, বরং তা নিয়ে আরও বেশি চর্চা করা। এদিন কথাপ্রসঙ্গে সেই ভাবনাই বেরিয়ে এল অমিত শাহর কথাতেও। রবিঠাকুর বেঁচে থাকবেন আরও আরও অনেক দিন…