কলকাতা: বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু রাজভবনে ঢুকতে পারেননি। পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশ শুভেন্দুর পক্ষেই গিয়েছে। তারপর রবিবাসরীয় সন্ধেয় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাজভবনে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বোসের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতার গলায় শোনা গেল, ‘জুডিশিয়ারি জিন্দা হ্যায়।’
রাজভবনে ঢুকতে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে শুভেন্দুর মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকেও। বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রাজ্যপালকে কি গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে? যদি সেটা না হয় তাহলে কেন তাঁর অনুমতিক্রমে কাউকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না কেন?’ বিচারপতি জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নতুন করে আবেদন করতে পারবেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল অনুমতি দিলে তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে।
সেই মতো রবিবার সন্ধেয় শতাধিক ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ১০-১২ মিনিটে সংক্ষেপে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। নিজেদের অভিযোগের স্বপক্ষে লিখিত নথি, ভিডিয়ো ফুটেজ, স্টিল ছবি তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। বেরিয়ে শুভেন্দু বললেন, “বিচার ব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই কেষ্ট মণ্ডল, হেমন্ত সোরেন, কেজরীবালের মতো ডাকাতরা জেলের ভিতরে আছে। বিচার ব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই, আমি লড়াই করে আবার আজ আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে এসে দেখা করলাম সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে।”
বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির তরফে খোলা সেফ হোমগুলিতে প্রায় ৩ হাজার ২০০ দলীয় কর্মী-সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক রাজ্যের বাইরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দুর। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “২০২১ সাল থেকে ১৫টি রাজ্যে ভোট হয়েছে। এমন ঘটনা কোনও রাজ্যে হয় না। পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা তিনবার ঘটল।”