Swarup Biswas News: বিপাকে স্বরূপ বিশ্বাস! কোটি টাকা মামলা দায়ের করলেন ২৩৩ পরিচালক, কেন?
Swarup Biswas: পরিচালক ও প্রযোজকদের বক্তব্য, কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে সকলের দিকে আঙুল তোলা যায় না। সেই জন্যই স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে 'ডিরেক্টর্স গিল্ড'-এর সভাপতি সুব্রত সেন বলেন, "পৃথক-পৃথকভাবে ২৩৩ জন ডিরেক্টর মানহানির মামলা করেছেন। অনেকেরই খারাপ লেগেছে স্বরূপবাবুর মন্তব্যে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তদের ষাট শতাংশই পরিচালক। সেই কারণে এই মানহানির মামলা করা হয়েছে।"
কলকাতা: দীপাবলির আগে সরগরম টলিউড। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই তথা ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ২৩ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করলেন ২৩৩ জন পরিচালক। কিন্তু কেন দায়ের হল মামলা? কী মন্তব্য করেছেন তিনি?
অভিযোগ, এর আগে কোনও একটি সাক্ষাৎকারে প্রোযোজক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন স্বরূপ। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাংলার বিনোদন দুনিয়ায় যৌন হেনস্থার যে সকল অভিযোগ উঠছে তাঁর মধ্যে ষাট শতাংশই হলেন ছবির পরিচালকগণ। এরপরই ক্ষুব্ধ হন পরিচালক ও প্রযোজকরা। এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন তাঁরা। এরপরই দায়ের হয় মানহানির মামলা।
পরিচালক ও প্রযোজকদের বক্তব্য, কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে সকলের দিকে আঙুল তোলা যায় না। সেই জন্যই স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’-এর সভাপতি সুব্রত সেন বলেন, “পৃথক-পৃথকভাবে ২৩৩ জন ডিরেক্টর মানহানির মামলা করেছেন। অনেকেরই খারাপ লেগেছে স্বরূপবাবুর মন্তব্যে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তদের ষাট শতাংশই পরিচালক। সেই কারণে এই মানহানির মামলা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি ডিরেক্টর্স গিল্ড ফেডারেশনের একটি অংশ। তারপরও দেখা যাচ্ছে ফেডারেশন অনেক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমাদের না জানিয়ে। এটা হওয়া উচিৎ নয় বলে মনে করি। আমার নিজের বিশ্বাস এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
অভিনেতা ও পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ব্যক্তি হিসাবে স্বরূপ বিশ্বাস কেন কাউকে নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। তিনি কে কী বৃত্তান্ত কী করেন তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের একটাই বক্তব্য, যে কোনও সংগঠনের একটা এক্তিয়ার থাকে। সেই এক্তিয়ারের মধ্যে তাঁরা কিছু জিনিস করতে পারেন। কিন্তু এখন ফেডারেশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বারবার লঙ্ঘণ করছেন। মনে করছেন তাঁরা ‘ল মেকিং বডি’। তাঁরা আইন তৈরি করতে পারেন না।” পরিচালক অপর্ণা সেনের বক্তব্য, “স্বরূপ বিশ্বাস কোন সুবাদে চেয়ারম্যান। আমার প্রশ্ন তিনি কি টেকনিশায়ন? পরে শুনলাম অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ড আছে। কিন্তু উনি কী কাজ করেছেন যে অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ড আছে?”