কলকাতা: বর্ধমান কাণ্ডে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে তিন জনের দৃষ্টিশক্তি হারানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১৫ জন রোগীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। ছানি কাটাতে গিয়ে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা আগেই প্রকাশ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। কাঠগড়ায় উঠেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভূমিকা। অভিযোগ উঠছিল, সেখানে স্টেরিলাইজ়েশন করার প্রক্রিয়া ঠিক ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকমহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার এরই মধ্যে চাপে পড়ে গলদ খুঁজতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন।
চোখের আলো প্রকল্পে সরকারি পরিকাঠামোয় ছানি অপারেশন করতে গিয়ে কী কারণে ১৫ জনের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হল তা জানতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির কাছে রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, সলিউশনের জেরে চোখের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে একমাত্র চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই এই অঘটনের কারণ সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর ওই রোগীদের চোখের অপারেশন হয়েছিল। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) টিভি নাইন বাংলায় সেই খবর প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন উঠছে, তারপর কেন স্বাস্থ্য ভবনের থেকে রিপোর্ট তলব করা হল? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বা রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির তরফে স্বাস্থ্য ভবনে কেন বিষয়টি এর আগে জানানো হল না? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
কী ঘটেছিল ১২ সেপ্টেম্বর? ওই দিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ১৮ জনের ছানি অপারেশন হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সমস্যার বিষয়টি বুঝতে বুঝতে আরও কয়েকদিন কেটে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ ওঠে, ওই ১৮ জনের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনের চোখ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজিতে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।