কলকাতা: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এবার আতস কাচের নীচে বিকাশ ভবন। দুর্নীতির তদন্তে নেমে লালবাজারের তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা মনে করছেন, যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরাই হয়তো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবারে লালবাজারের বিশেষ টিম গিয়েছে বিকাশ ভবনে। তাতে ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও একটি জায়গা থেকেই অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে। কোনও একটি কেন্দ্রীয় জায়গা থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্যাব দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ এহেন অভিযোগ সামনে এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনাতেও।
তদন্তকারীরা বলছেন, প্রায় সব জেলা থেকে বিস্তর অভিযোগ আসছে, সেক্ষেত্রে দুর্নীতি কেন্দ্রীয়ভাবে সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ আলাদা আলাদা ডিআই অফিস থেকে দুর্নীতি হলে, নির্দিষ্ট জেলা বা জায়গা থেকেই ছাত্রদের টাকা গায়েবের বিষয়টা সামনে আসত।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বিকাশভবনে গিয়ে দেখছেন, যে সমস্ত ‘আইপি অ্যাড্রেস’ ব্যবহার সাধারণ এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে অর্থাৎ স্কুল, অফিস, বিকাশভবন কিংবা অর্থ দফতরের ‘আইপি অ্যাড্রেস’, তা ব্যতিত অন্য কোনও ‘আইপি অ্যাড্রেস’ ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। কারণ অন্য কোনও ‘আইপি অ্যাড্রেস’ দিয়েও হ্যাক করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল উৎসের সন্ধানে তদন্তকারীরা।