AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

RG Kar: তিলোত্তমাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানার সেই ওসি, গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষও

CBI: ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের বিষয়টি আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি ও টালা থানাতেই প্রথম জানানো হয়। টালা থানার আধিকারিকরা যান অকুস্থলে। ফলে তাঁদের ভূমিকা ও বক্তব্য এই মামলায় অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ সন্দীপের ভূমিকাও। কারণ সে সময় তিনিই আরজি করের অধ্যক্ষ ছিলেন।

RG Kar: তিলোত্তমাকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানার সেই ওসি, গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষও
সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে গাড়িতে সন্দীপ ঘোষ। ফাইল ছবি। Image Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Sep 15, 2024 | 1:45 AM
Share

কলকাতা: তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুন মামলায় গ্রেফতার টালা থানার সেই ওসি, গ্রেফতার করা হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন ঘটনার সময় যিনি টালা থানার ওসি ছিলেন সেই অভিজিৎ মণ্ডল। গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষও। এর আগে সন্দীপকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এবার এই মামলাতেও শ্যোন অ্যারেস্ট করা হল। অন্যদিকে ৯ অগস্টের  ঘটনায় পরদিনই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করলেও পরে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে আরজি করে ধর্ষণ-খুন মামলায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল।

সিবিআই সূত্রে খবর, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে বলে সন্দেহ তাদের। দুই, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই দুই প্রাথমিক কারণকে সামনে রেখেই গ্রেফতার বলে খবর। এদিন দিল্লির সিবিআই হেড কোয়ার্টার থেকে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর। আরজিকর ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোথায় দাঁড়িয়ে, তদন্ত কীভাবে চলছে সমস্ত বিষয় দেখার জন্য এসে পৌঁছন তিনি। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের খবর আসে।

সিবিআই প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিল ক্রাইম সিন বা ঘটনাস্থলে কিছু বদল এসেছে। কিছু প্রমাণ লোপাটও করা হয়েছে বলে অনুমান তাদের। এই বিষয়কে স্ক্যানারে রেখে টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের বিষয়টি আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি ও টালা থানাতেই প্রথম জানানো হয়। টালা থানার আধিকারিকরা যান অকুস্থলে। ফলে তাঁদের ভূমিকা ও বক্তব্য এই মামলায় অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ সন্দীপের ভূমিকাও।

এদিন বিকাল সাড়ে ৪টে থেকে নাগাদ অভিজিৎ মণ্ডল সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। ছিলেন টালা থানার আরেক  সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত চট্টরাজ। যিনি প্রথম মামলার আইও ছিলেন। প্রথম যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছিল, তিনি ছিলেন সেই মামলার আইও। এদিন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। অন্যদিকে এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ সন্দীপ ঘোষকে (যিনি ইতিমধ্যেই দুর্নীতি মামলায় হেফাজতে রয়েছেন) গ্রেফতারের আবেদন  করা হয়। শিয়ালদহ আদালতে তাঁকে গ্রেফতার করার আবেদন জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জমা দেওয়া হয়। রবিবার তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই।