Calcutta High Court: ‘আমি জানি কী চলছে, আমার মুখ খোলাবেন না’, সচিবকে কড়া বার্তা বিচারপতি সিনহার
Calcutta High Court: আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে আগামী ৮ অগস্ট হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তথ্য সংস্কৃতি সচিবকে।

কলকাতা: তথ্য সংস্কৃতি সচিবের এত দুঃসাহস কী করে হয়! বিস্মিত আদালত। টলিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ার গোলমাল নিয়ে যে মামলা চলছে, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাইকোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, তার বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন সচিব। এমনটাই অভিযোগ উঠল আদালতে।
কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন টলিগঞ্জের একাধিক পরিচালক। গত ৮ জুলাই রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ৭ জুলাই বৈঠকের নোটিস দেওয়া হয়েছে ও ১৬ জুলাই সচিবের নেতৃত্বে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই বৈঠকে মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে ডাকতে হবে। আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সদনে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের সচিব শান্তনু বসুর ডাকা বৈঠকে ১১ জন পরিচালক উপস্থিত হন। কিন্ত সেখানে ছিলেন না ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। এক পক্ষ কেন অনুপস্থিত ছিলেন? কেন বৈঠকের সব শর্ত মানা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা।
রাজ্যের কৌঁসুলি অনিন্দ্য মিত্রকে এদিন বিচারপতি বলেন, “কে ওঁকে আলাদা করে বৈঠক করতে বলেছে?” গত ৮ জুলাই একটি নোটিস দিয়ে রাজ্য বলে যে সবাইকে একসঙ্গে ডেকে বৈঠক হবে। সেখানে কী করে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব একজনকে আলাদা ডাকলেন? সেই প্রশ্নই তুলেছে আদালত।
আইনজীবীকে বিচারপতি সিনহা আরও বলেন, “এখানে কিছু একটা আছে এর পিছনে। কিছু একটা চলছে। কিছু বিষয় লুকোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সচিবের ভূমিকা কিন্তু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কিছু ঢাকা দিতে একজন সিনিয়র আইনজীবীকে এনে ম্যানেজ করার চেষ্টা হয়েছে। আমি জানি কী চলছে। আমার মুখ খোলাবেন না। সচিব যা নোটিস দিয়েছেন, কোর্টকে বলেছেন, তার উল্টো কাজ করেছেন। সেই কারণে আপনাকে দাঁড় করানো হয়েছে।”
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে আগামী ৮ অগস্ট হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তথ্য সংস্কৃতি সচিবকে।
