Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tangra: ‘আপনার কিছু বলার আছে?’, বিচারক প্রশ্ন করতেই ট্যাংরার দে পরিবারের ছোট ভাই প্রসূনের মুখে একটাই ‘শব্দবন্ধ’, কী বললেন তিনি?

Tangra: এরপর বিচারক অভিযুক্তকে এজলাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। প্রসূন দে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর বিচারক প্রশ্ন করেন, "আপনি আইনজীবী রাখবেন?" প্রসূন  ঘাড় নেড়ে বলেন, ' না'।

Tangra: 'আপনার কিছু বলার আছে?', বিচারক প্রশ্ন করতেই ট্যাংরার দে পরিবারের ছোট ভাই প্রসূনের মুখে একটাই 'শব্দবন্ধ', কী বললেন তিনি?
ট্যাংরার দে পরিবারের ছোট ভাইImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2025 | 4:31 PM

কলকাতা: ট্যাংরার দে পরিবারের ছোট ভাই প্রসূন দে। সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করে ট্যাংরা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। এদিনের শুরুতেই আদালতে লিগ্যাল এইড এডভোকেট বলেন, “উনি (প্রসূন দে) আইনজীবী রাখতে চাইছেন না। ওকালতনাময় সই করছেন না। বলছেন চার্জশিট হলে আইনের হাত ধরে মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চায়।”

এরপর বিচারক অভিযুক্তকে এজলাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। প্রসূন দে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনি আইনজীবী রাখবেন?” প্রসূন  ঘাড় নেড়ে বলেন, ‘ না’।

বিচারক তখন তাঁকে ফের প্রশ্ন করেন, “বিনা পয়সায়, কোনও টাকা লাগবে না তাও রাখবেন না?” প্রসূন ফের ঘাড় নেড়ে বলেন, ‘না’। বিচারক ফের তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনার কিছু বলার আছে?” প্রসূন দৃশ্যত একই ভঙ্গিমায় বলেন, ‘না’।

এরপর বিচারক প্রসূনের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনাকে পিসি চাইছে, পিসি মানে বোঝেন তো? আপনকে জেলে পাঠানো হবে না। ওনাদের কাছে থাকতে হবে। আপনার কিছু বলার আছে এসম্বন্ধে?” প্রসূন আবারও ঘাড় নাড়লেন।

স্ত্রী ও বৌদির হাতের শিরা ও গলা কেটে খুন করেছেন প্রসূনই। সে কথা তিনি নিজের মুখে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। দু’জন বউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না পারায় প্রসূন হাত কেটে দেন বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। হাত ও গলা কেটে আওয়াজ কমের জন্য বালিশ দিয়ে মুখও চাপা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ির মহিলাদের মেরে আত্মহত্যার জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি, তাঁর দাদা ও নাবালক ছেলে। আপাতত নাবালক ও তাঁর বাবা অর্থাৎ প্রসূনের দাদা প্রণয় এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের তরফে আদালতে চার দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।