কলকাতা: পারিবারিক বিবাদের জেরে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। মৃত্যু বছর পঁয়ষট্টির গীতা মণ্ডলের। পরিবারের অভিযোগ, লক্ষ্মী মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল ও কমলা মণ্ডল নামে তাঁদেরই তিন আত্মীয় গীতাকে পিটিয়ে মেরেছে। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহার নাম করে গীতার পরিবারকে প্রায়ই ভয় দেখানো হত। আগেও একাধিকবার মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ গীতার মেয়ের।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা জমি নিয়ে গীতা মণ্ডলের পরিবারে সমস্যা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টা জানতেন। মাঝেমধ্যেই ওই বাড়িতে অশান্তি হত। প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যস্থতা করতেন। আবার অনেক সময় নিতান্তই পারিবারিক বিবাদ বলে তাতে মাথা ঘামাতেন না।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবারও অশান্তি শুরু হয়। লক্ষ্মী মণ্ডল, দিলীপ মণ্ডল ও কমলা মণ্ডলদের সঙ্গে গীতার ঝামেলা ছিল। সেই ঝামেলা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে কাউন্সিলরের নাম করেও গীতাকে ভয় দেখানো হত। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় বচসা চলাকালীন আচমকাই লাঠি নিয়ে হামলা চালান অভিযুক্তরা। গীতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গীতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করার আগেই মৃত্যু হয়। মৃতার মেয়ের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে এই নিয়েও লেগেছে রাজনীতির রঙ। বিজেপির দাবি, গীতার ছেলে বিজেপি কর্মী। যদিও ছেলে তা মানতে চাননি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই নিয়ে প্রতিবেশীরাও সেভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না। বিষয়টি খুব বেশি জানেন না বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।