কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্ষ ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মঙ্গলবার ১৩ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রাত ১১টার পর তিনি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন। বুধবার ফের তলব করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। তাপসের আগের বয়ানের সঙ্গে নতুন বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। এদিকে, তলব করা হয়েছে, যুব নেতা কুন্তল (Kuntal Ghosh) ঘনিষ্ঠ শান্তনুকেও। বাজেয়াপ্ত নথির লিঙ্কেই শান্তনু চোখা চোখা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। ৩০ কোটির হিসাব পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে এদিন যুব নেতা কুন্তল ঘোষকেও জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা। স্ক্যানারে রয়েছে তাপস কুন্তলের বয়ান। কারণ তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, স্কুল এবং শিক্ষা দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে সাড়ে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পেয়ে কুন্তলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। আবার কুন্তল দাবি করেন, তাপস তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি তাপসও। জোর গলায় মঙ্গলবার সিজিও-তে ঢোকার আগেই তাপস বলেছেন, “টাকা চাইব না, টাকা তো চাইবই। টাকা ওকে রাখতে দেওয়া হয়েছিল।” সেগুলি যে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা, তাও স্বীকার করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে ইডি-র স্ক্যানারে দু’জনের বয়ান।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দু’জন অর্থাৎ তাপস-কুন্তলের বয়ান আলাদা ভাবে রেকর্ড করেছে ইডি। কুন্তলের কালো ডায়েরিতে সঙ্কেতের নামের আড়ালে আদতে কারা রয়েছে, তা নিয়েই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কুন্তলের কালো ডায়েরির পাশাপাশি একটি পেন ড্রাইভেও নজর রয়েছে ইডি-র। যুবনেতার গেজেটের ফরেনসিকের ওপর জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র র্যাডারে রয়েছেন কুন্তলের এক সাগরেদও। কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা সংস্থার গোয়েন্দারা। ইডি জানতে পেরেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু আসলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতেন। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছেও গিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এদিন তাপস-শান্তনু-কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা। তবে তা মুখোমুখি বসিয়ে কিনা, সেটা নিশ্চিত নয়।